দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। আর ওই ম্যাচের স্নিকো মিটার বিতর্ক নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন সৌম্য সরকার। সিলেটে বুধবার বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সৌম্য সরকারকে আউট ঘোষণা করার পর নট আউট দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রীলঙ্কা দল ম্যাচ রেফারির দ্বারস্থ হয়েছে। যদিও সৌম্য বলছেন, বল তার ব্যাটে লাগেনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্দোর শট লেংথের বল সৌম্য পুল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট-বলে সংযোগ হয়নি। বল চলে যায় উইকেট কিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে। লঙ্কানদের কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার গাজী সোহেল আউট দেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সৌম্য। আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে স্পাইক।
আউট ভেবে ড্রেসিংরুমের কাছাকাছি চলে যান বাংলাদেশি ওপেনার। তবে টিভি আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের দৃষ্টিতে স্পাইকের সময় বল ও ব্যাটের মধ্যে সূক্ষ্ম দূরত্ব থাকায় সৌম্যকে নট আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত শুরুতে মেনে নিতে পারেননি লঙ্কান ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার শরফুদ্দৌলাকে ঘিরে ধরেন তারা। ওদিকে কোচ ক্রিস সিলভারউড গিয়েছিলেন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদের কাছেও। সবকিছু মিলিয়ে মাঠে ও গ্যালারিতে বেশ কিছুক্ষণ উত্তেজনা ছড়ায়।
ম্যাচ শেষে এ নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘যখনই আম্পায়ার আউট দিয়েছে, আমি সরাসরি রিভিউ নিয়েছি কারণ আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে বল আমার (ব্যাটে) লাগেনি। হয়তো কোনও একটা আওয়াজ আসছিল। হয়তো চেইন বা হেলমেট থেকে। ব্যাটের সাথে গ্যাপ ছিল। আমি যখন চলে আসছিলাম, বড় পর্দায় দেখেছিলাম তো বুঝতে পারিনি। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম দেখে লিটনকে জিজ্ঞাসা না করে রিভিউ নিয়েছি।’ অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কা দলের সহকারী কোচ নাভিদ নওয়াজ বলেন, ‘মাঠের আম্পায়ার আউট দিয়েছেন। টিভি আম্পায়ারের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ থাকলেই কেবল মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারে। এটা স্পষ্ট দেখা গেছে স্নিকোতে স্পাইক ছিল। আমরা এটা বড় পর্দায় দেখেছি। আমরা ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলবো, ঠিক কী ঘটেছিল জানার চেষ্টা করবো। পর্দায় দেখানো ফুটেজ কিছু বলার জন্য যথেষ্ট নয়। আমি নিশ্চিত টিভি আম্পায়ারের কাছে মাঠের আম্পায়ার যা চেয়েছিল, সেটি পরিবর্তন করার প্রমাণ থাকবে।’ এদিন সৌম্য ১৪ রানে (দলীয় ২৮ রান) আউট থেকে বাঁচলেও খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। ২২ বলে ২৬ রান করে আউট হন সৌম্য। তবে ততক্ষণে জুটিতে জমা হয় ৬৮ রান ।