কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
অভিনব কৌশল অবলম্বন করে জ্বালানি কাঠ হিসেবে পাচারকালে বস্তাভর্তি মূল্যবান আগর কাঠ আটক করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। উদ্ধার করা কাঠের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার মারিশ্যা ও মাইনি থেকে নদী পথে মূল্যবান আগর কাঠ টুকরো আকারে বস্তা ভর্তি করে পাচার করার সময় বন বিভাগের হাতে কাঠগুলি আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে মূল্যবান আগর কাঠ আটক করতে সক্ষম হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জের কর্মচারী মোঃ জয়নাল আবেদিন জানান, গত ২ মার্চ গোপন সংবাদে জানা যায়, পাচারকারী একটি সিন্ডিকেট মারিশ্যা থেকে মূল্যবান আগর কাঠ নদী পথে কাপ্তাই হয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা দিয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা কাপ্তাই কার্গো ট্রলি এলাকায় অবস্থান করি এবং ওই এলাকা থেকে টুকরো আকারে বস্তাভর্তি অবস্থায় কাঠগুলো জব্দ করতে সক্ষম হই। তবে এসময় কোন পাচারকারী সদসাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনা টের পেয়ে তারা আগেই সটকে পড়ে। কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, আমরা পাচারকারীর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে মূল্যবান আগর কাঠগুলো আটক করি। এবং আটক আগর কাঠগুলো কাপ্তাই রেঞ্জে অফিসে নিয়ে আসি। তবে পাচার কাজে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার করা আগর কাঠের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা হতে পারে তিনি জানিয়েছেন। অপর একটি সূত্র জানায়, পাচারকারী সিন্ডিকেট পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে জ্বালানি কাঠ হিসেবে মূল্যবান আগর কাঠ পাচার করছে। তারা সংশ্লিষ্টদের চোখকে ফাঁকি দিতে আগর কাঠ টুকরো আকারে বস্তাভর্তি করে সিএনজি যোগে চট্টগ্রাম ও রাউজান সীমান্তবর্তী কোন এক আগর কারখানায় এসব আগর কাঠ সরবরাহ করে থাকতে পারে। এদিকে আগর কাঠ পাচার ও আটকের কথা শুনে কাপ্তাইয়ের কয়েকশ’ আগর চাষী পরিবারের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। কাপ্তাই আগর চাষী কাজী ফারুক জানান, এভাবে জ্বালানি কাঠ, বলে আগর গাছ কেটে পাচার করায় আমরা আতংকে ভুগছি। আমাদের আগর গাছ গুলো কেটে কখন পাচার করে নিয়ে যায় তা নিয়েই তারা চিন্তিত। এবিষয়ে তিনি কর্তব্যরত বন বিভাগ ও আগর চাষীদের সর্তক থাকার আহবান জানান।