২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নগরীর পাঁচলাইশে কিং অব চিটাগং ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুছ সালাম, ভারতীয় হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সবসময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকাও অতি গুরুত্বপূর্ণ।
মশার প্রকোপ কমাতে জনসচেতনতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে আগে এডিসের প্রকোপ তেমন ছিল না। এখন প্রচুর এডিসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব আছে। ৯৮ শতাংশ এডিস মশা পরিস্কার পানিতে হচ্ছে। মশার উপদ্রব বন্ধে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিজের অর্থায়নে ৮২টা স্কুল পরিচালনা করছে। ৫৬টা হেলথ কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। ৪টা মাতৃসদন হাসপাতাল পরিচালনা করছে। চিকিৎসা কেন্দ্র, কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, নার্সিং ইনস্টিটিউট আছে। পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজও চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পেয়েছি আমরা। এ প্রকল্পের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে মেয়র বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে জনগণের আপত্তি ছিল। আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ৬টি রিভিউ বোর্ড গঠন করে উক্ত রিভিউ বোর্ডে আমি নিজে উপস্থিত থেকে ৮টি স্থানে গণশুনানির মাধ্যমে করদাতাদের চাহিদা মতে সহনীয় পর্যায়ে কর মূল্যায়ন করি। এতে নগরবাসীর গৃহকর নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা প্রশমিত হয়েছে। আমার এ উদ্যোগের ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলরবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলামসহ চসিকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।