জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নিপীড়কদের সহায়তা করার অভিযোগ এনে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলমকে অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’।
শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
অন্য দাবিগুলো হলো ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বহিষ্কারাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি, অফিস আদেশ প্রণয়ন করতে হবে এবং এর আগে যৌন নিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সব অমীমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানা অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সমাবেশে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মাদক ও ধর্ষণের কারখানা তৈরি হয়েছে, সেখানে প্রক্টরের দায় রয়েছে। কিন্তু এখনো প্রক্টরকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। প্রক্টর একটি নয়, একাধিক ধর্ষণ ও মাদকের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অসম্মানজনক।’
রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তাফা ফিরোজ দেখা করতে আসেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অব্যাহতির দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
এদিকে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের দুই নেতার অবৈধ বহিষ্কারাদেশ এবং মামলার অভিযোগ প্রত্যাহার করাসহ পাঁচ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আগামী ১০ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে পরিবহন চত্বরে একটি সংহতি সমাবেশের ডাক দিয়েছে।