ডেস্ক নিউজ:: সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ-সাতকানিয়াসহ প্রায় ৬০ গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হবে। প্রতিবছর সৌদি আরবে চাঁদ দেখার দিনের সাথে মিল রেখে রোজা পালন শুরু করছেন এসব এলাকার কিছু মানুষ।
রোববার (১০ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন দরবার শরীফের অনুসারীরা।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া উপজেলার ৬০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ রবিবার রাতে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করবেন। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।
এদিকে মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারী সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল, সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ রবিবার রাতে প্রথম রোজার সাহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।
মির্জারখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া মির্জারখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাঁগীরি (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর মুরিদ ও অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।
মির্জাখীল দরবারের জালালুল হাই বলেন, আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী রবিবার রাতে আমরা সাহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করব। সোমবার আমাদের প্রথম রোজা।
এ ছাড়া লামা, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছেন, তারাও রবিবার রাতে সাহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।