নিজস্ব প্রতিবেদক::
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য আর ইবাদত-বন্দেগীতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালন করলেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এসময় আল্লাহ’র সন্তুষ্টি এবং ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনার পাশাপাশি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করেন তারা।
রমজান মাসের শেষ দশদিনের বেজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে বলা হয়েছে। তবে ছাব্বিশ রমজানের দিবাগত রাতকেই পবিত্র এই রাত হিসাবে বিবেচনা করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা। এ রাতেই নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআন আর আল্লাহ এই রাতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন।
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভ ও গোনাহ থেকে পরিত্রাণের আশায় রাতভর মসজিদে নামাজ, জিকির আজগার, ইবাদত বন্দেগী করেন মুসল্লিরা।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মসজিদে মসজিদে হয় শবে কদরের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা। সারাদেশের মসজিদ ও বাড়িতে বসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরের মাধ্যমে পূর্ণময় রাত্রটি পার করছেন। অনেকে প্রিয়জনের মাগফেরাত কামনায় করছেন কবর জিয়ারত।
নিজেদের শান্তি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করেন অনেকেই। গুনা মাফের পাশাপাশি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফজর পর্যন্ত এই রজনীতে প্রার্থনা ও ইবাদত বন্দেগীতে পার করেছেন মুসল্লীরা।
এদিন তারা্বিহ নামাজ শেষে মুসল্লিরা ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত বন্দেগি করছেন। কেউ কেউ দলবেঁধে জিকির করছেন। মসজিদ জুড়ে কেউ কদরের নামাজ আদায় করছেন, কেউবা আবার কোরআন শরিফ পড়ছেন।
ইসলামি বিশ্লেষকরা বলছেন, পবিত্র এই রাতকে উৎসবের উৎস না বানিয়ে যেন এই রাতে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেন মুসল্লীরা। পাপ থেকে মুক্তি ও জান্নাতের পথ তালাশে হাজার বছরের চেয়ে উত্তম ও মহিমান্বিত রাত লাইলাতুল কদর অনুসন্ধানে ব্যস্ত মুসলিম সম্প্রদায়। মহিমান্বিত এই রাতকে কেন্দ্র করে ‘আল ক্বদর’ নামে নাজিল হয়েছে একটি সুরা।