ইনকামিং লিডারর্স ট্রেনিং সেমিনারে আরসি ইস্টের অংশগ্রহণ
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশে রোটারির নেতাদের প্রশিক্ষণ সেমিনারে এক্ষেত্রে সরকারের সাথে কীভাবে কাজ হবে, সে বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হয়।
রোটারির কাজের ক্ষেত্রে যে সাতটি লক্ষ্য রয়েছে তার সঙ্গে এসডিজির লক্ষ্যগুলোর মিল রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আখতার হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন রোটারি যুক্ত হলে এসডিজির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘মন্ত্রণালয়, বিভাগ, প্রচারযন্ত্র যারাই আছে, সবাই এখন কোনো না কোনোভাবে এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা কেউ এ বিষয়ে কাজ করলে সেটাও জাতিসংঘের ট্র্যাকারে যায়। সব দেশের মানুষ দেখতে পায়।’
এর আগের সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মত এসডিজি বাস্তবায়নেও সরকার ‘ভালো করছে’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই জ্যেষ্ঠ সচিব।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমরা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা আছে, তাদেরকে নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে চাই। সেক্ষেত্রে রোটারিয়ানরা সমাজের অত্যন্ত অগ্রসরমান অংশ, একটি সফল গোষ্ঠী।’
রোটারি ইন্টারন্যাশনালের পল হ্যারিস ফেলো রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং ইস্টের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটারিয়ান লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির নেতৃত্বে রোটারি ইনকামিং লিডারর্স ট্রেনিং সেমিনারে সেক্রেটারি ইলেক্ট রোটারিয়ান জুবায়েদুর রহমান সাকিব ও ট্রেজারার ইলেক্ট পিপি মো. শহীদুল্লাহ অংশগ্রহণ করেছেন। রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৬৪ ও ৬৫ বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে গত ১৯ এপ্রিল দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ও পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর আশীষ ঘোষ।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী আরসি ইস্টের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট শওকত বাঙালি সন্তোষ প্রকাশ করে অমানিশার অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথরেখা তৈরিতে রোটারির ঐতিহ্য বজায় রেখে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে ক্লাব পরিচালনার আহŸান জানান। নতুন নেতৃত্বের প্রতি অগাধ আস্থা, বিশ^াস নির্মাণের ইঙ্গিত দিয়ে কতিপয় ব্যক্তির দায়িত্বহীন কর্মযজ্ঞের দায়ে পুরো রোটারির বদনাম হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রোটারিকে যারা পেশা হিসেবে নিতে এবং জীবনমান উন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চান তারা রোটারিতে থাকার এবং আসার দরকার নেই। কোন প্রত্যাশা না রেখে সামাজিক দায়বদ্ধতাকে উপজীব্য করা গেলে রোটারিতে অংশগ্রহণ উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সকাল ৯টায় রিপোর্টিং এর মাধ্যমে সূচিত আয়োজনে শুরুতে জাতীয় সংগীত এবং রোটারির শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
উল্লেখ্য, রোটারির সাতটি অগ্রাধিকার হলো- শান্তি, রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা, পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা, স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ।
রোটারির নেতারা বলেন, ২০২৪-২৫ বছরে বাংলাদেশে রোটারি কী কী কাজ করবে, সে বিষয়ে সারাদেশের নেতাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘ইনকামিং লিডারর্স প্রশিক্ষণ সেমিনার’। এতে সারাদেশের ৩শ ক্লাবের প্রায় ১২শ প্রতিনিধি অংশ নেন।