কালুরঘাট সেতুতে সামুদা-১ নামের জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় তিন নাবিককে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) নগরের কালুরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো, জাহাজে কর্মরত কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান (২৪), সুকানি ইয়ামিন মোল্লা (২১) ও গীজার শাহাদাত হোসেন (২১)।
জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর পশ্চিমে হামিদচর এলাকায় একে খান ডকইয়ার্ডে জাহাজটি নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
কিন্তু জোয়ার এবং প্রবল বাতাসের মধ্যে জাহাজটি ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কালুরঘাট সেতুতে আঘাত করে আটকে যায়। জাহাজের মাস্টারের অনুপস্থিতিতে কোয়ার্টার মাস্টার সেটি ডকইয়ার্ডে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে তথ্য পায় পুলিশ।
এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, খালি জাহাজটি বেপরোয়া গাতিতে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ব্রিজের ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানের আন্ডার স্ল্যাং গার্ডার, ওয়াকওয়ে, রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
মামলা দায়েরের আগেই জাহাজটি জব্দ করে নৌ পুলিশ। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৬ দশমিক ৬৫ মিটার এবং ১১ মিটার প্রস্থ।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনার পরপরই আমরা জাহাজটি জব্দ করেছি। এরপর ওই মামলায় জাহাজের তিন নাবিককে গ্রেপ্তার করেছি। এদের মধ্যে দুজন কোয়ার্টার মাস্টার ও একজন সুকানি।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে এমভি সমুদা-১ নামে লাইটারেজ জাহাজটি কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দিয়ে সেখানে আটকে যায়।
এ ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদার বাদী হয়ে চট্টগ্রামের জিআরপি থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলায় জাহাজের মাস্টার, সুকানি, গীজারম্যানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।