মঙ্গলবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার আগে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। আজ দিল্লিতে দুই নির্বাচন কমিশনারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার৷ নির্বাচনের সাফল্যের খতিয়ান জানিয়ে বেশ কয়েকটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ভারতীয় ভোটদানের সংখ্যা জি-৭ সদস্য দেশগুলোর মোট ভোটারদের দেড়গুণ বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের ভোটারদের থেকেও এই সংখ্যাটা আড়াইগুণ বেশি। এটা কেবল ভোটদাতাদের সংখ্যা। ভোটার তালিকায় নাম থাকা সকলের সংখ্যা গুণতে গেলে এই নজিরও ছাপিয়ে যাবে। কমিশনার বলেন, ‘এবার প্রথমবার ভোটে হিংসা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার মতো জায়গায় আগে কী হত, তা আপনারা দেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গে মানুষ বুলেটের থেকে বেশি ব্যালটকে গুরুত্ব দিয়েছে। এবার শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য ২ বছর ধরে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না।’
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবছে কমিশন? উত্তরে রাজীব কুমার বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী যে, সে ভাবে হিংসা হবে না। তবে যদি হয়, তা মাথায় রেখে কয়েকটি রাজ্যে সিআরপিএফ থাকবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে রাজ্য সরকার এবং সিআরপিএফ ভোট পরবর্তী হিংসা হতে দেবে না।’
রাজীব কুমার বলেন, ‘আমরা ভুয়া খবর নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। এ বার সেরকম ভাবে কিছু হয়নি। কৃত্রিম মেধা দিয়ে ভুয়া ছবি-ভিডিও সেভাবে ছড়ায়নি।’
নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে ৪৯৫টি অভিযোগের মধ্যে ৯০টি সমাধান করা হয়েছে। ৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছে। কমিশনার বলেন, ‘২৪-এর লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন শুধু ১০ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এটাও কমিশনের তৎপরতার ফল। আগে কীভাবে টাকা ছড়ানো হত, মদ, শাড়ি দেয়া হত, তা আপনারা দেখেছেন। দক্ষিণ ভারতে কীভাবে টাকা দেয়া হত দেখেছেন।’
গণনা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, কখন, কী হবে, সব ঠিক করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কোনও ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই নেই। একটা ঘড়ির মতো কাজ করবে সবকিছু।