বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের মৃতদেহ এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এরইমাঝে সাংসদের দেহাংশ উদ্ধারের জন্য বাগজোলা খালে নামানো হলো ডুবুরি ও ডিএমজি। সাংসদের ব্যবহৃত কোনও জামা, জুতো, পোশাক কিছুই উদ্ধার হয়নি। তাই সিআইডির পক্ষ থেকে খালে তদন্তের জন্য ভারতীয় নৌসেনার সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। এরপরই এদিন নৌসেনার তিনজন ডুবুরি আসেন কৃষ্ণমাটিতে। ডিএমজির সঙ্গে তারা বাগজোলা খালে তল্লাশি শুরু করে। গত ১২ মে কলকাতায় এসেছিলেন আজিম আনার। ঘনিষ্ঠ এক সোনা ব্যবসায়ীর বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। এরপর ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর জানা যায় তাকে খুন করা হয়েছে। নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে পেশাদার খুনি এনে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
১৩ তারিখ একটি ভাড়ার গাড়িতে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপরই এই ঘটনা। যত সময় এগিয়েছে, এই ঘটনায় সাংঘাতিক সব তথ্য উঠে এসেছে। যার পরতে পরতে নৃশংসতা। খুনের দুই অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল মাথার অংশটি লোপাট করে বলে খবর। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে ওই অভিযুক্তকে না নিয়ে আসতে পারার কারণেই কোন জায়গায় ওই অংশটি লোপাট করা হয়েছে, তা নিয়ে সিআইডি এখনও বিভ্রান্ত। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, খুনের পরের দিন, ১৪ মে একটি ট্রলিতে করে সাংসদ আজিমের মাথা ও মাংসের টুকরোর অংশ নিয়ে নিউ টাউনের আবাসন থেকে বেরিয়ে আসে দুই খুনের অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল। তার আগে অভিযুক্ত কশাই জিহাদ সাংসদের মাথার খুলি ভেঙে ফেলে তা-ও কয়েক টুকরো করে দেয়। ফয়জলের কাছ থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা জেনেছেন, তারা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সীমান্তের কাছে যশোর রোডের পাশে একটি জায়গায় সাংসদ আজিমের দেহের ওই অংশ ফেলে আসে।কিন্তু ঠিক সেই জায়গাটি কোথায়, তা নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা ও সিআইডিও ধন্দে।