গত দুই লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবারের নির্বাচনে মোদির ভরাডুবিই হয়েছে বলা চলে। কেননা ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি একাই তিন শতাধিক আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। কিন্তু এবারের বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। ভারতে সরকার গঠন করতে ২৭২টি আসন প্রয়োজন। কার্যত এই প্রথম বার সহযোগীদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করে সরকার গঠন করতে হবে বিজেপিকে। মাত্র সাড়ে ১১ মাস আগে গড়া বিরোধী জোট আটকে দিল বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথ।
এ খবর দিয়ে অনলাইন আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি ছিল। এক দেশ এক ভোট, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের অঙ্গীকার ছিল। এবারের নির্বাচনে ৪০০ পার করার লক্ষ্যমাত্রাও ছিল বিজেপির। কিন্তু অষ্টাদশ লোকসভার ফল জানিয়ে দিল এবার মোদি শরিক নির্ভর।
৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি একক ভাবে পেয়েছে ২৪০ আসন।
তাদের নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ২৯৩ আসনে জিতেছে। অন্যদিকে, এই লোকসভা নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত পুনরুত্থান হল কংগ্রেসের। তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন। ‘ইন্ডিয়া’ ঝুলিতে ২৩৩ আসন। বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২ আসনে জয়ী কংগ্রেস সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সেই মর্যাদা পায়নি। এবার সেই মর্যাদা পেতে চলেছে মল্লিকার্জুন খড়েগ, রাহুল গান্ধীর দল।
অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) আটটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে। সুতরাং ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল বলেই দিচ্ছে মোদির শরিক ছাড়া উপায় নেই।