শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চারজন সিনেটর। তারা হলেন- সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ হুইপ ডিক ডারবিন (ডেমোক্রেট- ইলিনয়), সিনেটর জেফ মার্কলে (ডেমোক্রেট অরিগন), টিম কেইন (ডেমোক্রেট-ভার্জিনিয়া) ও পিটার ওয়েলচ (ডেমোক্রেট-ভারমন্ট)। সিনেটর ডিক ডারবিনের ওয়েবসাইটে ২রা জুলাই প্রকাশিত বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কোর্টে হাজিরা এবং তাতে সন্দেহজনক অভিযোগে তার ৬ মাস পর্যন্ত জেল হওয়ার ঝুঁকির প্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দিয়েছেন তারা। আরও বলা হয়, কমপক্ষে এক দশক ধরে প্রফেসর ইউনূস তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১০০ অপ্রমাণিত মামলার মুখোমুখি।
এর আগে তার বিরুদ্ধে এই হয়রানির নিন্দা জানিয়েছেন কমপক্ষে ১০০ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। এরমধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে এই কার্যক্রমের অনিয়মের বিষয়ে এরইমধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো আমলে নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘন ও অর্থ আত্মসাতের আরেক মামলায় সম্প্রতি দেয়া ৬ মাসের জেল। এসব স্বনামধন্য সংগঠনগুলো দাবি করেছে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার কার্যক্রমের গতি এবং বার বার তা ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারিক নিয়ম লঙ্ঘন করে। বার বার এবং অব্যাহতভাবে প্রফেসর ইউনূসকে হয়রানির মধ্যদিয়ে এটাই প্রতিফলন ঘটে যে, বাংলাদেশের অনেক নাগরিক সমাজের সদস্য ক্রমবর্ধমানহারে সীমাবদ্ধ পরিবেশের মধ্যে আছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যদিও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে এই আপাতদৃষ্টিতে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার অবসানে ব্যর্থতা সেই অংশীদারিত্বকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ডিক ডারবিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৩ সালে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের নেতৃত্ব দেন। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার অগ্রণী অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ তাকে ওই মেডেল দেয়া হয়। এর আগে প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লেখেন ডারবিন, মার্কলে, কেইন, ওয়েলচ, সিনেটর টড ইয়াং, ড্যান সুলিভান, জেন শাহিন, এড মার্কে, শেরড ব্রাউন, শেলডন হোয়াইটসহাউস, রন ওয়েডেন এবং কোরি বুকার।