চট্টগ্রামে সুফিয়ানের-এনাম সহায়তায় এস আলমের ১৪টি বিলাস বহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামসহ আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নেতৃত্ব দেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর মইজ্জার টেক এলাকায় অবস্থিত এস আলমের ফ্যাক্টরি থেকে বিলাস বহুল গাড়িগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ভিডিওহাতে এসেছে।
এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংকের লেনদেন ঋণ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ পরামর্শের কথা জানান।
ভিডিও চিত্রে দেখা যাচ্ছে—চট্টগ্রামের এস আলমের একটি ফ্যাক্টরি থেকে রাতের আঁধারে একের পর এক সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিলাস বহুল সব গাড়ি। তবে ঠিক কখন গাড়িগুলো সরানো হয়েছে—সে সময় জানা সম্ভব হয়নি।
এ সময় ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের ড্রাইভার মনসুর, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব পিবলু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম নয়ন উপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। আমি কোনো ওয়্যারহাউসেও যাইনি। তবে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনামুল হক এনামের অনুরোধে আমি তার মামাতো ভাই মীর গ্রুপের আবদুস সালামের মীর পাল্পের কারখানায় যাই। সেখানে বিএনপির পরিচয়ে কয়েকজন চাঁদা চাইতে গিয়েছিল। আমরা গিয়ে সেটা মিটমাট করে দিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ানের গাড়ি চালক মো. মনসুর বলেন, আমি সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম, গাড়ি সরানোর ঘটনাটা শেষ রাতের, তখন আমি ছিলাম না।
জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত। গতকাল সন্ধ্যায় কালুরঘাট এলাকায় মীর গ্রুপের একটি কারখানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও বিএনপি পরিচয়ে চাঁদা দাবি করতে গেলে তারা আমাকে ফোন করে, আমি ওই এলাকার বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ভাইয়ের সহায়তায় কিছু লোক পাঠাই। তবে এস আলমের কারখানায় সমস্যার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
উল্লেখ্য, এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংকের লেনদেন ঋণ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ পরামর্শের কথা জানান।