মহেশখালী প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার একমাত্র শাহাদত বরণকারী শহিদ তানভির ছিদ্দিকী’র স্মৃতি রক্ষণাবেক্ষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণবিপ্লবের বিকাশ সাধনের উদ্দেশ্যকে চিরউজ্জীবিত করার জন্য ‘শহিদ তানভির ছিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এর আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার মহেশখালী উপজেলার ৩নং কালারমারছড়া ইউনিয়নস্থ কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে উক্ত আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে শহিদ তানভিরের পিতা বাদশা মিঁয়ার সভাপতিত্বে, ইঞ্জিনিয়ার শফিউল্লাহ রাজুকে আহ্বায়ক এবং রেসালত কদির, শাহজাহান মনির ও রিয়াজ মাহমুদকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাইফুদ্দিন সালমান আজিজ-কে সদস্য সচিব ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কমিটির অনুমোদন দেন শহিদ তানভিরের পিতা বাদশা মিঁয়া।
এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন আবু রায়হান, আরিফ উল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফাহিম, ফাহাদ আল মাহমুদ সৌরভ, খুরশেদ আলম।
এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শফিউল্লাহ রাজু শহিদ তানভির ছিদ্দিকীসহ যেসব শহিদের বুকের তাজা রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে এদেশের ১৮ কোটি মানুষ মৃত্যুভয়কে জয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের যে কবর রচনা করেছে, সেসব শহিদের আত্মদানকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে শহিদ তানভির ছিদ্দিকীর এই সীম সাহসিকতা, বিপ্লব ও আত্মদানের স্পিরিটকে বুকে ধারণ করে সমাজে সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সুশিক্ষার বিস্তারে শহিদ তানভির ছিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইঞ্জিনিয়ার শফিউল্লাহ রাজুসহ অন্যান্য বক্তাগণ।
এছাড়া বক্তাদের নির্দেশনার ভিত্তিতে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা, বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ট্যালেন্ট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প হাতে নেওয়া, সমাজ থেকে মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নৈরাজ্য বন্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সার্বিক সহযোগিতা করা, ফ্রি চিকিৎসা ও ব্লাড ডোনেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং প্রতি বছর ১৮ই জুলাই শহিদ তানভিরের শাহাদাত বার্ষিকীতে মহেশখালীতে বিশেষ শোক দিবসের পালন করাসহ সর্বোপরি দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে শহীদ তানবির সিদ্দিকীর এই বিপ্লব ও আত্মত্যাগকে যুগান্তরের সাহস ও অনুপ্রেরণা হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ভূমিকা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।