গত মাসেই ৭৩ বছরে পা দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের কিংবদন্তি ফুটবলার ইয়োহান নিসকেন্স। আর গত রোববার (৬ অক্টোবর) দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন সাবেক এই ডাচ মিডফিল্ডার। সত্তরের দশকের শুরুতে ‘টোটাল ফুটবল’ নামে নতুন এক ফুটবল দর্শন নিয়ে এসেছিল যে নেদারল্যান্ডস দল, তার অংশ ছিলেন নিসকেন্স।
ডাচ ফুটবল ফেডারেশন সোমবার (৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে নিসকেন্সের মৃত্যুর খবর জানায়। তবে মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি। নেদারল্যান্ডসের হয়ে নিসকেন্স খেলেছেন ৪৯ ম্যাচ। ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়া ডাচ দলের অংশও ছিলেন তিনি।
ডাচ ফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে চেনে নিসকেন্সকে। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে নিসকেন্স করেন ৫ গোল। মিউনিখের সেই ফাইনালে ডাচদের হয়ে পেনাল্টি গোল করে নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ ফাইনালে যা দ্রুততম গোল। তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ডাচদের।
জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলেও একজন সফল ফুটবলার ছিলেন নিসকেন্স। ১৯৭০-৭১ থেকে টানা তিন মৌসুমে ডাচ ক্লাব আয়াক্সের ইউরোপিয়ান কাপ জয়ে তিনি রাখেন বড় অবদান। ওই সময়ে দলটির হয়ে টানা দুই মৌসুমে জেতেন ঘরোয়া লিগও। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আয়াক্স, ‘ইয়োহান নিসকেন্সের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। শান্তিতে ঘুমাও, আয়াক্স কিংবদন্তি।’
এরপর তিনি যোগ দেন বার্সেলোনায়। সেখানে নিসকেন্স কাটান পাঁচ মৌসুম। তখন বার্সেলোনার হয়ে একবার করে জেতেন কোপা দেল রে ও ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ।
১৯৯১ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর কোচিংয়ে সম্পৃক্ত হন নিসকেন্স। ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলেন ছিলেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের সহকারী কোচ। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা ডাচরা ১৯৯৮ আসরে হয় চতুর্থ।