বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীতে পড়া বুঝিয়ে দিতে না পারায় মো. আশরাফুল ইসলাম (১২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মো. আলম প্রকাশ হাফেজি হুজুরের বিরুদ্ধে।
অবশ্য ঘটনার পরদিন থেকেই পালাতক রয়েছে শিক্ষক হাফেজ মো. আলম। বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের গণি চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন দারুস সুন্নাহ্ রহমানীয়া মাদরাসায় শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন গতকাল রবিবার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সহকর্মী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পারে বলে জানান শিশুর পিতা মো. শফিউল আলম মানিক।
ঘটনার ব্যাপারে আহত শিশুর পিতা মো. শফিউল আলম মানিক বলেন, ‘আমার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম ওই মাদরাসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী। আঠারো পারা হেফজ সম্পন্ন করেছে। ঘটনার দিন সকালে ছবক (পড়া হাজিরা) দিতে না পারায় হুজুর মারধর করে। দুপুরে নাস্তার বিরতির সময় ওই হুজুর গ্যাসের চুলায় পানি বসিয়ে গরম করে। পরে শীরের পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি খুলে গরম পানি ঢেলে দেয়। এতে আমার ছেলের শরীর ঝলসে যায়। বিনা চিকিৎসায় মাদরাসায় আটকে রাখা হয় তাকে। পরে স্থানীয় লোকজন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে গুনাগরিস্থ আয়েশা সিদ্দিকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।’
ঘটনার ব্যাপারে মাদরাসা সুপার আমিনুর রশিদকে ফোন দেওয়া হলেও কথা না বলে ফোন কেটে দেন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. ইউসুফ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি জেনেছি। এভাবে মরধর করা হুজুরের উচিত হয়নি। হুজুরের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, হুজুর পালিয়ে যায়নি। এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিবে। প্রয়োজনে আহত শিশুর পিতাকে ডাকা হবে।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রকে গরম পানিতে ঝলতে দেওয়ার ঘটনায় আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ ফেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।