ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান শাকিব খানের কাছে তার দল ঢাকা ক্যাপিটালস-ও নাম্বার ওয়ান। তবে ৪ ক্যাপ্টেন নিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল, দলগত নৈপুণ্যে জিততে চায় টানা দ্বিতীয় শিরোপা। নিজ নিজ স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট বাকিরাও। যদিও বরাবরের মতো এবারও গুরুত্ব পায়নি তরুণ দেশি ক্রিকেটাররা।
‘ড্রাফট তো দেখেছেন সবাই। নাম্বার ওয়ান হয়েছে তো…!’ ড্রাফট শেষে নিজের দল নিয়ে এমনটাই বলেন ঢালিউডের নায়ক শাকিব খান।
বড় পর্দা থেকে ২২ গজ। বিপিএল ড্রাফট শেষে শাকিব খানের কাছে তার দলই নাম্বার ওয়ান। তবে ক্রিকেটটা তো সিনেমা নয়। তাই হয়তো অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বর্তমান অধিনায়কসহ স্কোয়াডের ৪ জনের আছে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা। ফরচুন বরিশাল এবারও প্রস্তুত শিরোপা ধরে রাখতে। ফরচুন বরিশালের স্বত্বাধিকার মিজানুর রহমান বলেন, ‘সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে আমরা দলটাকে গুছাই। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দলটা হয়েছে।
দেশের ক্রিকেটের হটকেক সাকিব আল হাসানের ঠিকানা এবার চিটগাং কিংস। হট ফেবারিট রংপুর থেকে ভাগিয়ে এনে তাই আত্মবিশ্বাসী প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় থাকা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
চিটাগাং কিংসের স্বত্বাধিকার সামির কাদের বলেন, ‘উনি (সাকিব) ক্লিয়ার পাচ্ছেন খেয়ার জন্য। এরপর আমরা রংপুরের সঙ্গে আলোচনা করেই সাকিবের সঙ্গে সাইনিংটা করেছি।’
বড় নাম নয়, সবশেষ আসরের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে রংপুর এবার চায় ধারাবাহিকতা। তাই তো পরীক্ষিতদের নিয়ে দল গড়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ড্রাফট শেষে তৃপ্তির ঢেকুর রাইডার্সের কণ্ঠে। গত বিপিএলের শুরুতে চমক দেখানো খুলনাও গড়েছে ভারসম্যপূর্ণ দল।
রংপুরের কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘শেষ আসরটা খুব খারাপ সময় গিয়েছে রংপুরের জন্য। দুই ম্যাচ পরপরই খেলোয়াড় বদলাতে হয়েছে। এখন আমাদের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে, এমন খেলোয়াড়ই যেন নেয়া হয় যারা প্রায় সব ম্যাচ খেলতে পারে।’
তবে পুরনো সমালোচনাকে এবারও পেছনে ফেলতে পারেনি সিলেট। ক্রিকেটের বাইরে থাকা মাশরাফীর ভূমিকা কি হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট উত্তর নেই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের কণ্ঠে।
সিলেটের স্বত্বাধিকার মামুনুল হক বলেন, ‘মাশরাফী অনেক দিন ধরেই ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত। সে গত আসরে হয়তো সেভাবে খেলতে পারেনি। তবে এর আগে কিন্তু সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সে সামনে ভালো অবস্থায় থাকলে দলের মেন্টরিংয়ের দায়িত্ব পালন করবে।’
ফুরিয়ে যাওয়া মাশরাফী সহ দল পেয়েছেন লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরে থাকা শফিউল ইসলামও। লঙ্গার ভার্সনের মার্শাল আইয়ুবও আছেন তালিকায়।
সিলেটের মতো প্রশ্নবিদ্ধ দল সাজিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। বিশেষ করে তাদের দুই ফরেইন রিক্রুট নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। শ্রীলঙ্কান লাহিরু সামারাকুন দল পান না নিজের দেশের লিগ এলপিএলে। দলটার আরেক বিদেশি সাদ নাসিম তো আরেক কাঠি সরেশ।
৩৫ পেরোনো এই পাকিস্তানি এখন পর্যন্ত কখনোই খেলেননি বিদেশি ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগে। পিএসএলে শেষ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ২০১৯ সালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা তো আরও পুরনো। শেষবার পাকিস্তানের জার্সিতে ম্যাচ খেলেছেন ২০১৫ সালে।
এমন প্রশ্নবিদ্ধ দল গড়ার পেছনের কারণ খোলাসা করতে এদিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়নি দলটার কোন প্রতিনিধি। শুধু অংশগ্রহণের জন্য এর আগেও বিপিএলে দেখা গেছে অনেক ফ্র্যাঞ্জাইজিকে। দূর্বার রাজশাহী এবার সে তালিকায় নাম লেখাবে কিনা, তা জানতে অপেক্ষা বিপিএলের নতুন আসরের।