আদালতের কার্যতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ দিতে গেলে আইনজীবীকে থাপ্পড় মেরে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেন বিচারপতি। এতে বিচারকক্ষে শুরু হয় আইনজীবীদের হট্টগোল। এমন পরিস্থিতিতে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারপতি। পরে অভিযোগ দিলে ওই বিচারপতির বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিচারিক ক্ষমতা হারানো বিচারপতির নাম আতাউর রহমান খান।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মামলার শুনানির শুরুতে মেনশনের সময় আইনজীবীদের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান আদালতে বলেন, মাননীয় আদালত আপনার আদালতের বেঞ্চ অফিসাররা অনিয়ম করে সকল জমাকৃত মামলা ঠিকমত দৈনিক কার্যতালিকায় দেননি। এতে অসংখ্য আইনজীবী বঞ্চিত হয়েছেন।
উত্তরে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ওই আইনজীবীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হাত উঁচিয়ে বলেন, আমি বারের নেতা ছিলাম। তোমাকে কে সাহস দিয়েছে, আমার আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলতে? আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব। তোকে থাপ্পড় দিয়ে পুলিশে দেব।
এ সময় বিচারকক্ষে আইনজীবী বলেন, আমি তো শুরুতে অ্যাপোলজি চেয়ে আপনার কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করছি। মাই লর্ড আপনি এভাবে আচরণ করতে পারেন না।
জবাবে, বিচারপতি আবারও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় আইনজীবীরা আদালত কক্ষে হট্টগোল, হৈ চৈ শুরু করলে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারপতি আতাউর রহমান খান।
ঘটনার পর প্রধান বিচারপতির কাছে আইনজীবীরা অভিযোগ দিলে ওই বিচারপতির বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তার স্থানে বিচারপতি কাজী জিনাত হককে বেঞ্চের দায়িত্ব দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
পরে ব্যারিস্টার আশরাফ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন।