বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তদন্তের জন্য ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) কাছে চিঠি লিখেছেন। পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে নির্বাচিত আপসানা বেগম জানান, শুধু যুক্তরাজ্য নয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিভিন্ন দেশে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়ও অনেক সম্পদ রয়েছে।
দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মহানগরী টাওয়ার হ্যামলেটসে আমার নির্বাচনী এলাকায় এই ৭২ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে, যা শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায়ও প্রচুর সম্পদ রয়েছে।’ তিনি এই পরিস্থিতিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন এবং সরকারের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কারণ দেশ এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।’
আপসানা বেগম বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের আস্থা হারানোই বিগত সরকারের পতনের মূল কারণ। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়।’
তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে বহু বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন ও তারা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের তদন্তের সঠিক বিচার চান।
তিনি বলেন, ‘মানি লন্ডারিং ও সম্পত্তি চুরির সমস্যা পুরো দেশের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।’
এমপি আপসানা বেগম আরো বলেন, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মতো অন্যান্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদেরও অবৈধ সম্পদ যুক্তরাজ্যে পাচার করার খবর শোনা যাচ্ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং তদন্তের প্রয়োজন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে এবং সরকারের উচিত এ ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সংকট, বৈষম্য এবং দুর্নীতি বিষয়ে আরো সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান।