১১ বছর পর পটিয়া থানার একটি মামলায় পটিয়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাংবাদিক রবিউল আলমসহ ১১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ৫ম অতিরিক্ত জেলা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম আদালত এই আদেশ দেন।
মামলায় খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন, ব্যাংকার মো. হাসমত আলী, মো. রায়হান, মো. আয়াজ, মো. রাশেদুল ইসলাম, ওসমান গণি, মো. হানিফ, মো. ফারুক, মো. ওসমান গনি এবং মো. আতাউল্লাহ।
আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘পটিয়া থানার ওই মামলাটি একটি মিথ্যা মামলা।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছিল। স্বাক্ষীরাই আদালতে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন। আদালত ১১ আসামীকেই বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আদালতের বিচারে আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোল্লা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রের তিনজন স্বাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলায় খালাস পাওয়া রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমি ২০১২ সাল থেকে সাংবাদিকতায় যুক্ত। ২০১৩ সালে স্থানীয় একটি পত্রিকায় পটিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। ২০১৩ সালে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ওই সময়ের সরকারি দলের লোকজনের মদদে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির মামলা করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে রাজনৈতিক হেনস্থার শিকার হয়েছি। গত ১১ বছর আদালতে ঘুরতে ঘুরতে আমাদের আর্থিক এবং মানসিক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে যারা আমাদের হয়রানিতে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।