সূর্যসেনের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেনি কোন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন
শফিউল আলম,রাউজান ঃ প্রতি বছর রাউজানে যথাযথ মর্যাদায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মাষ্টার দা সূর্য সেনের মৃত্যু বার্ষির্কী পালিত হলেও এ বছর সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি ধর্মীয় সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ছাড়া, অন্যকোন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন দিনটি পালন করতে দেখা যায়নি।
১২ জানুয়ারী বুধবার বিল্পবী মাষ্টার দা সূর্য সেনের ছিল ফাঁসি দিবস বা ৯১ তম মৃত্যু বাষির্কী। ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে জম্ম গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারী মাত্র ৩৯ বছর বয়সে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসক। তাঁর সম্মানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে একটি করে আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়। এছাড়া কলকাতা মেট্্েরা, বাঁশদ্রোণী মেট্্েরা স্টেশনটির নামকরণ করা হয় মাষ্টার দা সূর্য সেন মেট্্েরা স্টেশন নামে। চট্টগ্রাম শহরের জে.এম. সেন হলের সম্মূখে একটি ভাস্কর্য রয়েছে।
মাষ্টার দার জম্মভূমি রাউজানের পৈত্রিক সূর্য সেন পল্লীর বাড়িতে একটি হাসপাতাল, রাউজান সদরে একটি তোরণ ও রাউজান কলেজের সামনে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। একই সাথে একটি সূর্যসেন পাঠাগার রয়েছে। অবিভক্ত ভারত বর্ষের অবিসাংবাদিত নেতা মাষ্টার দা সূর্য সেনের ৯১ তম মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে রাউজান কলেজের সামনে নির্মিত ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রাউজান পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদ। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রাউজান পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সদীপ দে (সজীব) ও সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত চৌধুরী নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিল্পব কান্তি দাশ, তাপস দে, কাঞ্চন বিশ^াস, তপন চৌধুরী প্রমূখ।