সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও: সাজানো অপহৃত মামলার ৩ দিনের মধ্যে অবশেষে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
১০এপ্রিল (বৃহষ্পতিবার) বিকেলে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলের নিকটত্মীয় আদুর রহমানের ঘর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে চকরিয়া থানার এসআই মোঃ আবুল খায়ের।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা সাজানো অপহৃত নাটকের অবসান চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল রাতে উপজেলার খুটাখালীতে জমি-জমার বিরোধ নিয়ে একই এলাকার রাশেদুল ইসলামের সাথে জিয়াউদ্দিন কাজলের বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কাজলকে অপহরণ ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল লুটের অভিযোগ তুলে গত ৯ এপ্রিল চকরিয়া থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করে কাজলের স্ত্রী নুসরাত জাহান রিফা।
পরদিন ১০ এপ্রিল রাশেলের বড় বোন বাদী হয়ে চিহ্নিত ৪জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় অপর একটি মারামারি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২১/১৬৫।
তবে বাদী রিফার করা সাজানো মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বেশ ক’জন নিরীহ লোকজনকে। আসামীদের দাবী সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মারামারি করে উল্টো কাজলের পরিবার অপহরন নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
এদিকে উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আবুল খায়ের বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় খুটাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আবদুর রহমানের ঘর থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে তিনি খুটাখালী হাফেজখানা সড়কের মোড় ঘটনাস্থল গিয়ে উপস্থিত লোকজন ও ইজিবাইক চালকদের সাথে কথা বলেন।
স্থানীয়রা জানান, ঐ দিনরাতে কাজলের পরিবারের লোকজন মারামারি শেষে কাজলকে ইজিবাইক চালক মান্নানের গাড়িতে করে বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং গুরুতর আহত রাশেলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জমি জমার বিরোধ নিয়ে মুলত তারা মারামারি করেছে। পরে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আবুল খায়ের মোটরসাইকেল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাস্থলে গিয়েছি, উপস্থিত লোকজন ও স্বাক্ষীদের সাথে এমনকি ইজিবাইক চালকের সাথে কথা বলেছি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত বলা যাচ্ছে না।