শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাউজানে কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। হাতে সময় আছে আর মাত্র একটি দিন মানে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। তাই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও খামারে চলছে পশু কেনা-বেচা। এদিকে পাহাড়তলী পিংক সিটি বাজারে রাত-দিন চলছে পশু কেনা-বেচার ধুম। মাত্র ৩০০ টাকা হাসিল এই বাজার থেকে দেশী জাতের গরু, মহিষ ক্রয় করার সুযোগ থাকায় প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহর থেকে পশু কিনতে ক্রেতারা ছুটে আসছেন পিংক সিটি বাজারে। দক্ষিণ রাউজানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই বাজারটি। হাটে গিয়ে দেখা যাই বড় গরুর চেয়ে কোরবানি দাতারা ছোট গরুর দিকে ঝুঁকছেন। বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা গেছে হাট গুলোতে ক্রেতার ভরা। অন্যদিকে পিংক সিটি বাজারে গরু মহিষ ছাগল দ্বারা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাজারে চারপাশ। বাজারে যেন তিল ফেলার ঠাই নেই। এ বাজারে পশুর তুলনায় ক্রেতার বেশ ভিড় দেখা গিয়েছে। মোটামুটি বড় গরুর তুলনায় ছোট গরু বিক্রি হতে দেখা যায়। বাজারে ক্রেতা-বিক্রতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ বিশ হাজার টাকার মধ্যে বাজারে গরু বেশি বিক্র হচ্ছে। এবং মানুষের চাহিদাও বেশি রয়েছে এই দামের গরু গুলো। বাজারে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের একটি গরু বিক্রি করেছে মালিক আকাশ। এবং কামাল নামে আরও এক ব্যবসায়ী বড় একটি গরু প্রায় ৩ লাখ টায় বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। তবে উপজেলার বিভিন্ন হাটে চাহিদার তুলনায় বাজারে বিক্রিয়ের জন্য গরু বেশি হওয়ায় কাঙ্কিত মূল্য পাচ্ছেনা বলে দাবি বিক্রেতাদের। আর ক্রেতাদের দাবি এবার বাজারে গরুর দাম অনেক বেশি। বিশেষ করে ছোট গরুর দাম চড়া। কেউ কেউ পশু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার ঝুঁকি নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাম কিছুটা কমে কিনা সেই আশায় অপেক্ষায় রয়েছে ক্রেতারা। পিংক সিটিতে গরু ক্রয় করতে আসা আবদুল মান্নান বলেন, গরুর দাম এবার অনেক বেশি। আমারা যে পরিমান বাজেট করছি। বাজারে এসে তার উল্টো, গতবছর যে গরু দিয়ে কোরবানি দিয়ে ছিলাম। এবার সেই গরুর দাম প্রায় ২ লাখ টাকার কাছাকাছি। বাজারে গরুর দাম শুনে আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি। রাউজানে শুধু মাত্র রাত-দিন কোরবানি পশু বিক্রি হচ্ছে পিংক সিটি বাজারে। ২৭ জুন মঙ্গলবার রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট, উরকিরচর মদুনাঘাট, রাউজান ইউনিয়নের নাতোয়ান বাগিচা, ডাবুয়ার হিংগলা মুছা শাহ হাটে কোরবানীর পশুর বাজার বসে। কোরবানীর পশুর হাটে শেষ মুর্হুতে গরু, ছাগল মহিষ ক্রয় করছে ক্রেতারা । আর শেষ বাজার হিসেবে রয়েছে রমজান আলী হাট চারাবটতল বাজার। । এখান থেকে কোরবানির জন্য হয়তো কেউ গরু কিনবেন নয়তো রশি কেনার অপেক্ষায় রয়েছে। রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, সারা রাউজানে কোরবানি পশুর হাট গুলোতে ব্যাপক পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে ক্রেতারা এসে নিরাপদে হাট থেকে পশু ক্রয় করে নিয়ে যেতে পারবে।
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রাউজান পশুর হাট
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন


