ইমরান খানকে কটাক্ষ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। তিনি দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-ওয়াজের (পিএমএলএন) সুপ্রিমো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। তিনিই হবেন চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে আগস্টে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেহবাজ। আগামী ১২ই আগস্ট শেষ হচ্ছে পার্লামেন্টের মেয়াদ। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যে ফল আসবে তা মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেহবাজ শরীফ।
জুন মাসে পবিত্র হজ করতে মক্কায় গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। এই ফাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের অধীনে পিএমএলএনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার একটি আইন পাস করিয়ে নেয়। তার অধীনে কোনো পার্লামেন্টারিয়ানকে ৫ বছরের বেশি অযোগ্য করা যাবে না।
এর বড় সুফল পাবেন পিএমএলএন প্রধান নওয়াজ শরীফ। তাকে এর আগে যাবজ্জীবনের জন্য নির্বাচনে, সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ওই আইন পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
পক্ষান্তরে পিএমএলএন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নওয়াজের দেশের ফেরার দিকে। তিনি দেশে ফিরলে নির্বাচনী প্রচারণায় গতি পাবে বলে বিশ্বাস করা হয়। অক্টোবর-নভেম্বরে হতে পারে পার্লামেন্ট নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর ‘ইয়ুথ বিজনেস অ্যান্ড এগ্রিকালচার লোন স্কিমের’ অধীনে চেক বিতরণকালে শেহবাজ শরীফ বলেন, দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে দেশের গন্তব্য পরিবর্তন করে দেবে মুহাম্মদ নওয়াজ শরীফ ও পিএমএলএনের পুরো নেতৃত্ব। ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সমালোচনা করেন তিনি এ সময়। বলেন, জনগণ দেখেছে পিটিআই সরকারের চার বছরের ধ্বংসলীলা। তারপর জনগণকে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান শেহবাজ। তিনি উল্লেখ করেন, পিটিআইয়ের শাসনকাল ভয়াবহ দুর্নীতিতে ছেয়ে ছিল। এর মধ্যে আছে- চিনি ও গম দুর্নীতি, র্যাপিড ট্রানজিট পেশোয়ার, মালাম জাব্বা, তোষাখানা বিক্রি, ১৯০০০ কোটি পাউন্ডে বৃটেনে দুর্নীতি। কেউই এসব ফ্যাক্ট অস্বীকার করতে পারেন না।
শেহবাজ শরীফ এ সময় তার সরকারের সময়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, নওয়াজ শরীফ ও তার দল নিকৃষ্ঠতম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এমনকি তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পিটিআই প্রধানের সঙ্গে সেই আচরণ করা হয়নি। পিএমএলএন প্রধান কখনো দেশের বিরুদ্ধে কোনো কিছু চিন্তা করেননি। ইমরান খানকে একটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় নেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন শেহবাজ। বলেন, ইমরানকে সাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তিনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নোংরা ভাষা এবং কৌশল ব্যবহার করেছেন।


