সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)-এর র্যালি এবং ‘আউরাত মার্চ’কে কেন্দ্র করে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এতে রাজধানীতে যেকোনো রকম জনসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ বুধবার এ বিষয়ে এক নোটিফিকেশন জারি করেছে পাঞ্জাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করেছে, লাহোরের বিভিন্ন স্থানে নিত্যদিনই বহু র্যালি এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। এতে শুধু যে নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিচ্ছে তা নয়। একই সঙ্গে ট্রাফিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জনগণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া র্যালি বা প্রতিবাদ বিক্ষোভ থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরও ইতিহাস আছে। এসব সহিংসতায় বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এবং বেসামরিক মানুষ শাহাদাৎ বরণ করেছেন। সর্বশেষ সন্ত্রাসের ধারা এবং হুমকির বিষয়ে সতর্কতায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব রকম সমাবেশ, জমায়েত, অবস্থান, র্যালি, বিক্ষোভ, জলসা, ধরনা, এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড বন্ধে লাহোরে ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
এই নোটিফিকেশন জারি করেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) শাকিল আহমেদ।
কিন্তু আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে আয়োজিত আউরাত মার্চ এবং পিটিআইয়ের নির্বাচনী র্যালির কয়েক ঘন্টা আগে এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ওদিকে পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার বলেছেন, বুধবারের র্যালিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ যোগ দেবেন। তবে তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিটিং বা র্যালি করবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি। যখন ৩০শে এপ্রিল প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তখন কিভাবে আপনি জনগণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে পারেন? হাম্মাদ আজহার দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজেদেরকে আইন হাতে তুলে না নিতে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে র্যালি হবে। তবে প্রতিটি সড়ক ব্লক করে রাখা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ দেশে রক্তপাত ঘটাতে চাইছেন। কিন্তু তাদেরকে তা করতে দেবে না পিটিআই। আজহারের অভিযোগ পিটিআইয়ের র্যালি বন্ধ করতে সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার জামান পার্কের মতো একটি মডেল টাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।