দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৮ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণের ওপর যে ১৮৬টি আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলোর ওপর চার ধাপে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে এ শুনানি করবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানার খসড়া গেজেট আকারে প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯ মার্চ পর্যন্ত সংক্ষুব্ধরা এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। সীমানা-সংক্রান্ত প্রাপ্ত আবেদনের শুনানি শেষে জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করতে চায় বর্তমান কমিশন।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে যে ৩০০টি আসন রয়েছে, সেই আসনগুলোর সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছিলাম। সেই গেজেটের বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত আপত্তিগুলো ১৯ মার্চের ভেতরে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ১৮৬টি আবেদন পেয়েছি। এর মধ্যে পক্ষে ও বিপক্ষে রয়েছে। এই আপত্তিগুলো শুনানি করে নিষ্পত্তির জন্য তারিখ নির্ধারণ করতে কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেছিল। সেই সভায় চার দিনে আপত্তিগুলো নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সীমানার আপত্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে।
রাজশাহী থেকে ৪৩টি, বরিশাল থেকে ২৯টি, ঢাকা অঞ্চল থেকে ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ৫টি করে আবেদন পড়েছে। তবে সিলেট ও রংপুর অঞ্চল থেকে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি।
ইসি সচিব বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের যেসব আবেদন হয়েছে সেগুলো নিষ্পত্তির শুনানি হবে আগামী ৩ মে। রাজশাহী অঞ্চলের যে আবেদন সেগুলো শুনানির তারিখ ৭ মে। ময়মনসিংহ-ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চলের শুনানি ১১ মে। আর বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেদন নিষ্পত্তির শুনানি হবে ১৪ মে।
আবেদনের এসব শুনানি নির্বাচন কমিশনের বেজমেন্টের সভাকক্ষে হবে জানিয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, এর জন্য আমরা একটা গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে দেব, কোনটা কোন তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। যারা আপত্তি দাখিল করেছিলেন তারা তাদের যৌক্তিক প্রমাণাদিসহ শুনানিতে উপস্থাপন করবেন।