মো.আলাউদ্দীন হাটহাজারীঃ হাটহাজারীর ৩নং মির্জাপুর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডস্থ কালা বাদশা পাড়ার শফিউল আলম মাস্টারের ছেলে এনায়েতুল গনি সুমন (৩৬) কে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় জড়িত তিন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ জুন) রাতে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ওই তিন আসামীকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে সন্ধ্যার দিকে উল্লেখিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মডেল থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো, উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউপি ৫ নং ওয়ার্ডের কালা বাদশা পাড়ার মৃত ডাঃ সামশুল আলমের পুত্র আব্দুল সালাম মাষ্টার (৪৫), একই এলাকার মৃত লতু মিস্ত্রীর পুত্র মোঃ ইকবাল (৩৪), মৃত লতু মিস্ত্রীর পুত্র মোমেন এলাহী প্রকাশ কালুর স্ত্রী শিবলী আকতার (৩২)। জানা যায়,গত রবিবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে সুমন সংসারের বাজার করে কালাবাদশাপাড়াস্হ নিজ বাড়িতে ফেরার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় তার দুই হাত ও মাথার বাম পাশে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হয়। আহত সুমন বর্তমানে আশংকা জনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালের ৭৯ নং ওয়ার্ডের ৫৩ নং সীটে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় সোমবার ভিকটিমের বড় ভাই আতাউল গনি রিটন বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৯। মামলা দায়েরের পর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.রুহুল আমিন সবুজের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা সংগীয় ফোর্স নিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন স্হানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেন। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো.রুহুল আমীন সবুজ হামলার ঘটনায় জড়ির তিন জনকে আটকের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, আহত সুমনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একই এলাকার শেখ আহম্মদ ডাক্তারের বাড়ির মৃত লতু মিস্ত্রির ছেলেদের সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর সুমন দলবল নিয়ে মৃত লতু মিস্ত্রির ছেলে হোসেন এলাহী প্রকাশ বাচাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া মোমেন এলাহী প্রকাশ কালু নামে আরেকজনকক কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এ ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক হয়ে এক বছর জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসে সুমন।
প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহতের ঘটনায় মামলা: তিন আসামী আটক
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন


