সহকর্মীর গুলিতে দুই জাপানি সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক সেনা সদস্য। বুধবার দেশটির মধ্যাঞ্চললীয় শহর গিফুতে অবস্থিত একটি সামরিক প্রশিক্ষণ রেঞ্জে এই ঘটনা ঘটে। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তিনি সহকর্মীদের ওপর গুলি চালান।
খবরে বলা হয়, গুলির সময় নতুন জিএসডিএফ বা জাপানিজ সেলফ ডিফেন্স ফোর্সেস সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলছিল। কর্মীদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে তাদের সরাসরি গুলি করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু হামলাকারী সেই গুলি ছুড়েছে নিজের সহকর্মীদের ওপর। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়। এরমধ্যে দুই জন মারা যান এবং একজন আহত হন।
জাপান সরকারের মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার আরও বিশদ কোনও বিবরণ না দিয়ে কেবল একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সেসময় জানান তিনি। জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন তরুণ সৈনিক এবং ঘটনার সময় তিনি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন।
পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্থানীয় পুলিশের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন সন্দেহভাজন সেনার বয়স ১৮ বছর। তাকে পাশে থাকা অন্যান্য সৈন্যরা আটক করে। জাপানে হিংসাত্মক অপরাধ এবং গুলিবর্ষণ অত্যন্ত বিরল। কারণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে বন্দুকের মালিকানা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। তবে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা উদ্বেগ বেশ বাড়িয়েছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রচারণা চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে মারা যান।
