প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে উজরা জেয়া
নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্ব নেই জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, ‘আমরা চাই এখানে (বাংলাদেশে) অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উজরা জেয়ার।
তিনি বলেছেন,
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুতিকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর পরিচালন ব্যয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন উজরা জেয়া।
এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এ নিয়ে একটি টুইট করেন উজরা জেয়া। টুইটবার্তায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।
টুইটে উজরা জেয়া আরও বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের স্বার্থে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি ঘুরে দেখে উজরা জেয়ার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রশংসা করে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানায়।
তবে পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। এদিন সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় ত্যাগ করার পর কথা বলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ২০১৭ সাল থেকে এখানে আন্তর্জাতিক, দেশি-বিদেশি যেসব সংস্থা কাজ করে, তাদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা পায়। বিশেষ করে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা যে খাদ্য সরবরাহ করে, তাতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।