ইমরান হোসেন হীরা নামে এক যুবক কারাগারে গিয়েছেন বেশ কয়েকবার, আর সেখানে অন্য কয়েদিদের কাছ থেকে শিখেছেন মোবাইল নম্বর ক্লোনিং করা। সেই শিক্ষা নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ডিসি-এসপি ও চেয়ারম্যানদের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে নানা অনৈতিক তদবির করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
সম্প্রতি সময় সংবাদদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি প্রধান) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, হীরা পড়াশোনায় মাত্র দশম শ্রেণি পর্যন্ত কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী তিনি। তিনি যে কারও মোবাইল নম্বর ক্লোন করতে পারেন। তবে সবারটা করেন না। ঢাকা মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদেরও নম্বর ক্লোন করাই তার পেশা।
ডিএমপির এক অতিরিক্ত কমিশনারের সরকারি নম্বর ক্লোন করার মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নম্বর ক্লোন করে তিনি থানার ওসি, এসআইকে ফোন দিয়ে আসামি ছাড়ার জন্য তদবির করতেন৷ ইউএনওদের নম্বর ক্লোন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন এ যুবক বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত কমিশনারের ফোন নম্বরের আগে কান্ট্রি কোড +৮৮ এর জায়গায় প্রতারক হীরার ক্লোন করা নম্বরে থাকে +৩৮। এই বিষয়টি অনেকেই খেয়াল করেন না। আর বিশেষ অ্যাপসের মাধ্যমে নম্বরগুলো ক্লোন করা হয় আর সরকারি নম্বর ক্লোন করে হীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ধরনের নম্বর ক্লোনয়িংয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে তবে ডিবি প্রধান জানিয়েছেন যে, বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে নম্বর ক্লোন করা হচ্ছে সেগুলো তারা চিহ্নিত করা গেছে।


