অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছিল, দেশটি শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিতে যাচ্ছে। বিশেষ করে সদ্য বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফের কণ্ঠে যখন উচ্চারিত হয়েছিল, পাকিস্তান দেউলিয়া অবস্থার মধ্যে আছে, তখন বুঝতে বাকি থাকে না কি পরিস্থিতিতে দেশটি। এবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। যারা ছিলেন সরকারে, ঘুরেফিরে তারাই এসেছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেহবাজ শরীফ। পরিবর্তন হয়েছে শুধু প্রেসিডেন্ট পদ। আগে প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) ড. আরিফ আলভি। এখন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সহসভাপতি আসিফ আলি জারদারি। এ নিয়ে তিনি দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
ক্ষমতায় এসেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের আর্থিক সংকটের কারণে বেতন নেবেন না। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেছেন, যতদিন তিনি প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন, বেতন নেবেন না। আর্থিক সংকটে দেশ। এ সময়ে দূরদর্শী আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করতে চান তিনি। তাই বেতন না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই রকম মনোভাব প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক মন্ত্রী মহসিন নাকভি। এক্স বার্তায় তিনি মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। ১৯ জন মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট জারদারি।