ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বার শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রবিবার রাতে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ সময় মোদির নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও শপথ নেন। মন্ত্রিসভার ৭১ সদস্যের মধ্যে মন্ত্রী ৩০ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ৪১ জন।
এবারের মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল ঘটিয়েছে বিজেপি। ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর চেতনা ধারণ করে ২৪টি অঙ্গরাজ্য থেকে মন্ত্রী নেওয়া হয়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ দেশটির মিডিয়ার। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতাসংগ্রামী জওয়াহেরলাল নেহরুর পর এই প্রথম তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলেন কোনো ভারতীয় নেতা।
মোদির নেতৃত্বে টানা এক দশক ধরে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভারত শাসন করেছে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি।
এবার প্রত্যাশামতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সবচেয়ে বেশি ভোট তারাই পেয়েছে। তবে সরকার গঠনের জন্য এনডিএ জোটের শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে মোদিকে। নতুন সরকারে রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, এস জয়শঙ্করসহ প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রীদের অনেকেই স্থান পেয়েছেন। সরকারে ফিরেছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।
মন্ত্রিসভার মোট সদস্যের মধ্যে ৬০ জনই বিজেপির, বাকি ১১ জন বিভিন্ন শরিক দলের।
মন্ত্রিসভায় সর্বনিম্ন ৩৬ থেকে সর্বোচ্চ ৭৪ বছর বয়সী নেতাদের ঠাঁই হয়েছে। এ ছাড়া ‘অন্যান্য অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর’ (ওবিসি) ২৭ জন, দলিত সম্প্রদায়ের ১০ জন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পাঁচজন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচজন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
মন্ত্রিসভায় নতুন সাতজনকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ভারত থেকে ১৩ জন মন্ত্রিসভায় এসেছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনই কর্ণাটকের।