সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় প্রত্যক্ষদর্শীর হাত- পা,চোখ মুখ বেঁধে কোরবানির জন্য কেনা ৩টি, বিক্রির জন্য মজুদ করা ২টিসহ মোট ৫টি গরু লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ভিলেজার পাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় জড়িত কেউ আটক কিংবা লুণ্ঠিত গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঐ এলাকার বাসিন্দা গরু মালিক শামশুল আলম জানান, ২টি বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ এবং স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের কোরবানির জন্য ক্রয় করা ৩টিসহ মোট ৫টি বিভিন্ন সাইজের গরু ভিলেজার পাড়া নুরুল আমিনের দোকানের পিছনে পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে বেঁধে রেখে রাত ২টা পর্যন্ত পাহারা দেয় তারা। এসময় অতিরিক্ত ঘুমের কারণে সবাই বাসায় ঘুমাতে গেলে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মুখোশ পরিহিত ৮/১০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী একটি হাইয়েস,আরেকটি মিনি পিকআপযোগে এসে নুরুল আমিনের দোকানে পিছনে হানা দিয়ে গরু গুলো লুট করে নিয়ে যায়। লুট হওয়া গরু গুলোর মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা বলে জানান শামসুল আলম। ওই সময় আতিক নামের এক ট্রাক চালক বাড়ি থেকে বের হয়ে হেঁটে আরকান রোডে আসার পথে লুটের দৃশ্যটি দেখতে পেলে তাকে ধরে হাত পা, চোখ মুখ বেঁধে রেখে এক পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় মৌখিকভাবে জানানো হলে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে একজন সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে সম্ভাব্য স্থানে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি ও তল্লাশি করা হয়েছে। ইসলামপুর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাহাব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো চরম বেকায়দায় পড়ছে বলে জানান। তবে এলাকাবাসী জানান, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ গরু মহিষ লুট সিন্ডিকেট। তারা প্রতিদিন কোনো না কোন বাসা বাড়ি, গোয়ালঘর, খামারে হানা দিয়ে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দ গরু মহিষ। তারা বলেন, রাতের বেলায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করলে অনেকটা কমে আসবে গরু মহিষ লুটের ঘটনা। ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, লিখিত অভিযোগ বা মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাতের বেলায় পুলিশের টহল আরো বেগবান করা হবে বলেও জানান ওসি।
ঈদগাঁওতে কোরবানির কেনা গরু লুটের অভিযোগ
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন