মেথি সাধারণত রান্নায় পাঁচ ফোড়ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর উল্লেখ রয়েছে নানা ভেষজ গুণ সম্পর্কে। তাই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে নিয়মিত খেতে পারেন মেথি ভেজানো পানি।
মেথিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরির মতো উপাদান।
নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি অথবা চা সেবনে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি বদহজম, দুশ্চিন্তা, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভেষজ ওষুধ হিসেবে পিরিয়ড ক্র্যাম্প, স্ট্রোক, বর্ধিত প্রোস্টেট এবং মুটিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয় মেথি। বর্ষজীবী এই উদ্ভিদের রয়েছে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করার মতো প্রাকৃতিক ক্ষমতাও।
যাদের কৃমির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এবং সদ্য মা হয়েছেন এমন নারীর ক্ষেত্রে মেথি ভালো কাজে আসে। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ফর ভিটামিন অ্যান্ড নিউট্রিশন রিসার্চ -এ প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায় মেথি সেবনে।
নিয়মিত পথ্য হিসেবে মেথি সেবনে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তে চিনি, কোলেস্টেরল আর চর্বির মাত্রা কমতে শুরু করে।
মেথিতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে, টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।
এছাড়া চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত, কালো দাগ, মুখের ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো নানা ধরনের সমস্যাতেও মেথির উপকারিতা রয়েছে।
মেথির এসব উপকারিতা পেতে ১ চামচ মেথি ১ গ্লাস গরম পানিতে আধ ঘন্টা ভিজিয়ে তা ঠান্ডা করে সেবন করতে পারেন। কিংবা আদা, দারুচিনি দিয়ে মেথির চা তৈরি করেও নিয়মিত তা পান করে ৩ মাসের মধ্যেই এর জাদুকরী ক্ষমতা উপভোগ করুন।