খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদ্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনী ত্রিপুরাকে আওয়ামী লীগ নেত্রী দাবী করে তাকে অপসারণের দাবিতে জানানো হয়েছে।
সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপিও পেশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে জিরুনী ত্রিপুরাকে অপসারণ করা না হলে জেলাপরিষদ কার্যালয় ঘেরাও, হরতাল ও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন গুইমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত জিরুনী ত্রিপুরা আওয়ামী লীগের দোসর। আওয়ামী লীগের দোসরকে পার্বত্য জেলা পরিষদের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে সরকার জনগণের সাথে তামাশা করেছে। আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শহীদি জনতার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সখ্যতা ছিল জেলা পরিষদের সদ্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনী ত্রিপুরার। তিনি খাগড়াছড়ির সাবেক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরারও অনুগত ছিলেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন জিরুনী ত্রিপুরা। এ ছাড়াও তার স্বামী লিলিয়ন রোয়াজাও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।’
সম্মেলনে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার পক্ষে সূর্যকিরণ ত্রিপুরা কার্বারী, মো. ইব্রাহিম খলিল, বিদর্শী চাকমা, সুমঙ্গল চাকমা ও সুমিত্রা চাকমাসহ চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে একই দাবীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন তারা।