বৈশ্বিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের শিপব্রেকিং এবং রিসাইক্লিং সম্পর্কে বিভিন্ন খারাপ ধারণা (গুজব) রয়েছে। কিন্তু গ্রিন শিপইয়ার্ড রিসাইক্লিং পরিদর্শনে গিয়ে সেই ধারণার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানের গ্রিন শিপইয়ার্ড দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি দল।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ফেরদৌস স্টিল শিপ রিসাইক্লিং ইন্ড্রাষ্টিজ গ্রিন শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে শেষে এ কথা বলেন বাংলাদেশ আমেরিকা অ্যাম্বসেডরের প্রতিনিধি দল।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে বড় বড় শিপব্রেকিং ও রিসাইক্লিন করার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছে বাংলাদেশে। এ সক্ষমতার পজেটিভ ইমেজ জাহাজ ভাঙা সংগঠন বিএসবিআরএ বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে হাইলাইট করে গ্লোবালি তুলে ধরতে হবে। গ্রিন স্টিল ও রিসাইক্লিং নিয়ে বহিবিশ্ব অর্থায়ন করার (ইনভেষ্টম্যান) প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
পরিদর্শন শেষে আমেরিকার অ্যাম্বসেডরের প্রতিনিধি দলের সামনে গ্রিন শিপইয়ার্ড ও রিসাইক্লিং বাস্তবচিত্র তুলে ধরেন আইএমও ও গ্রিন শিপইয়ার্ড রিসাইক্লিন এর কনসালটেন্ট মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান।
এসময় আমেরিকার অ্যাম্বসেডরের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা এরিক গিলান, অর্থনৈতিক কর্মকর্তা রিচার্ড রাসমুসেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ আসিফ আহমেদ।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিপব্রেকার্স এন্ড রিসাইক্লাস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী, লিয়াকত আলী চৌধুরী, মাস্টার আবুল কাসেম, ফেরদৌস স্টিল শিপ রিসাইক্লিন ইন্ড্রাষ্ট্রিজের এর সিইও ফেরদৌস ওয়াহিদ, সিও আসাদুজ্জামান সাইমন, ম্যানেজার ইউসুফ চৌধুরী ও বিএসবিআরএ সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম।


