জন্মগতভাবে মানুষ রাষ্ট্র কর্তৃক সকল অধিকারের স্বীকৃতি লাভ করে থাকে। রাষ্ট্র ধর্ম, বর্ণ, মত ও লিঙ্গ ভেদাভেদে সকল নাগরিকের সার্বজনীন অধিকার রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। কিন্তু আমাদের দেশে তা সম্পূর্ণ বিপরীত। এদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা রাষ্ট্র কর্তৃক প্রতিদিন নির্যাতিত হচ্ছে। ধর্ম অবমাননার তকমা লাগিয়ে সংখ্যালঘু যুব সমাজকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করছে ‘মব’ সৃষ্টিকারীরা এবং সরকারের পেটুয়া বাহিনী। পাহাড়ে প্রতিনিয়ত আদিবাসীদের উপর নির্যাতন করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এব্যাপারে রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক দলগুলি অতীতে যেমন নীরব ভূমিকা পালন করেছে আজও। বর্তমান সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি একই ভূমিকা পালন করে চলেছে। ’২৪ এর ৫ই আগষ্ট থেকে আজকের দিন পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার ও অস্তিত্ব রক্ষায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি রাষ্ট্র। এপর্যন্ত সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি এ বিষয়ে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় প্রদান করেছে এবং করছে।
১০ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকালে বাংলাদেশ-হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তাগণ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। ঐক্য পরিষদের সভাপতি তাপস হোড়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন কবি সাংবাদিক আবুল মোমেন, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর রনজিত কুমার দে, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল যাত্রা, সাংবাদিক আলিউর রহমান, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক সম্পাদক শরৎ জ্যোতি চাকমা ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী শুভ্রদেব কর। পরিষদের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দক্ষিণ জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দে, অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এড. সুমন সরকার ও গৌতম দাশ। সভায় বক্তাবৃন্দ সংখ্যালঘুদের মানবিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। সভার শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত পরিষদের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।


