‘দেশপ্রেম প্রশংসনীয়, তবে তা যেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করে’—এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জুলাই ঐক্যের এক কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কিছু স্লোগান দেন। এর মধ্যে দুটি স্লোগান ছিল—‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন করো’, ‘যে ভারত খুনি পালে সেই ভারত ভেঙে দাও’।
এইদিকে ইঙ্গিত করে লুৎফুজ্জামান বাবর তার পোস্টে বলেন, “কিছু তরুণ দেশপ্রেমের আবেগে ও ভূ-রাজনীতি ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কে সীমিত ধারণা থেকে আমার নাম ব্যবহার করে অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মসূচিতে জড়িয়েছেন—এটি দুঃখজনক। দেশপ্রেম প্রশংসনীয়, তবে তা যেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান সংবেদনশীল জাতীয় পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত, সংযত ও দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আসন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়া কোনো ঝুঁকিতে না পড়ে।”
১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসী। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখান থেকে হাদিকে নেওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে।
ওসমান হাদিকে গুলিতে জড়িত মূল সন্দেহভাজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখ। তারা ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
ভারতে আশ্রিত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব খুনিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ‘ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল, মিডিয়া লীগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদে বুধবার ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি পালন করে জুলাই ঐক্য।


