চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল হিসেবে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ায় এবং পুরাতন সেতুটি মেরামত করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস, রেলওয়ে সচিব, এবং মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
এই উপলক্ষে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সময়োপযোগী প্রস্তাবগুলিকে স্বাগত জানান এবং বলেন, অচিরেই কর্ণফুলী নদীতে কালুরঘাটে দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে সরকারের একনেক অনুমোদন প্রাপ্ত এবং কোরিয়া থেকে ঋণ চুক্তির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ঋণ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই সেতু নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে। মতবিনিময় সভায়, মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, কালুরঘাট সেতু ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও, সেতুতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যর্থ হচ্ছেন। এতে উভয় দিক থেকে গাড়ি উঠে মুখোমুখি হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এ কারণে, আপাতত সেতুর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব একটি অভিজ্ঞ সংস্থাকে প্রদানের প্রস্তাব করা হলে, জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে জানান যে, সেতু পরিচালনার জন্য আপাতত রেলওয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং ভবিষ্যতে উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে আরও প্রস্তাব করা হয় যে, কালুরঘাট এলাকায় রেলের জমিতে অবৈধভাবে বালু বিক্রির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম জানান, রেলের ভূমি শাখার সাথে কথা বলে শীঘ্রই এই অবৈধ বালু বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। এছাড়া, ষোলশহর রেল স্টেশনের উন্নয়ন কাজ কালুরঘাটের নতুন সেতুর মাস্টার প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সেতুর কাজ শুরু হলে ষোলশহর রেল স্টেশনকে আধুনিক মানে রূপান্তর করা হবে, তবে জরুরি সংস্কার কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে, মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ফোরামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ: কামরুল ইসলাম বাদল, মোঃ আক্তার, জিন্নাত আরা ঝিনুক, মো. জসিম উদ্দিন, মোঃ সেকান্দর নয়ন, মামুন চৌধুরী, পংকজ রাহুল, শাহরিয়ার হোসেন ও ইব্রাহিম প্রমুখ।


