মহান জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর জাসাসের সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি প্রথম দিনে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ২ নভেম্বর(শনিবার) সকাল দশটায় চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জাসাস চট্টগ্রাম মহানগর এর আহবায়ক এম এ মুছা বাবলুর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ শিপন এর সঞ্চালনায় উক্ত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
উক্ত চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় আগত ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের উদ্দেশ্যে ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কবজ হবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সমগ্র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের লক্ষ্যে এই দর্শন প্রবর্তন করেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসই হচ্ছে এই দর্শনের মূল ভিত্তি। ৭ নভেম্বরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তিনি দ্রুত বাংলার মানুষকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দেন বলে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন শহীদ জিয়া দেশের মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
৭ নভেম্বর পালনের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থেই জিয়াকে স্মরণ করা হবেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীন হয়েছিল, ফ্যাসিবাদী আচরণের জন্য আওয়ামী লীগ তাকে লক্ষ্যচ্যুত করেছে। শুরুতেই দেশকে কুক্ষিগত করতে একদলীয় বাকশালি শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল। তবে দলমত নির্বিশেষে আপামর মানুষের প্রতিরোধের মুখে তারা তা তখনও পারেনি, এখনও পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আরো বলেন, বাঙালির ঐক্যের যদি একটিও দিন থেকে থাকে, তা হলো ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এই দিনটি দেশের আপামর মানুষকে এক করেছিল। বাঙালির এই ঐক্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। বিশেষ অতিথি বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে প্রাণ পেয়েছিল। এরমধ্যে দিয়ে জাতীয় অগ্রগতি উন্নয়নের সূচনা হয়। বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতির ঐক্যের দিন। বিপ্লবের এই মহান দিনটিকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। এই চেতনাকে আবার পুনঃস্থাপিত করতে হবে। খাতাপত্র থেকে মুছে ফেলা হলেও দেশের মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যায়নি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে এদেশের মানুষ ভালোবাসে বলেই সিপাহি জনতা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে কঠিন সময়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা পেয়েছিল। কল্যাণ-অগ্রগতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। তাহলে দেশ জাতি উপকৃত হবে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জাসাস কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম। চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কেন্দ্রীয় জাসাস নেত্রী নাজমা সাঈদ,মোহাম্মদ মহসিন, মাহবুব রানা, ইকবাল হোসেন, আবু মুসা, এম এ রাজ্জাক, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, গোলাম মাহমুদ লিটন, শেখ জামিল হোসেন, সৈয়দ জিয়াউদ্দিন, ফজলুল হক মাসুদ, মইনুদ্দিন মইন, লায়ন আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, রায়হান উদ্দিন, চাঁদগাও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুজ্জামান, জাসাস নেতা মহিউদ্দিন জুয়েল, শরীফ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মিনহাজ উদ্দিন সানী, জহির হোসেন, নাহিদা আক্তার নাজু, রিপন ভান্ডারী, মোঃ সালাউদ্দিন, আব্দুল আউয়াল, এস বি সুমি, উম্মে তানিয়া, উম্মে হাবিবা, ফারহানা ইসলাম, ফারজানা পারু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


