শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জারি করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বায়ুদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বায়ুদূষণ রোধে বর্জ্য ও পাতা পোড়ানো বন্ধসহ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাউশির প্রধান নির্দেশনাগুলো:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবিলম্বে নিম্নলিখিত কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে:
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা, গাছের লতাপাতা এবং বায়োমাস উন্মুক্তভাবে পোড়ানো যাবে না।
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট জৈব আবর্জনা, গাছের লতাপাতা এবং বায়োমাস না পুড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থানে গর্তের মধ্যে সংরক্ষণ করে জৈব সার বা কম্পোস্ট তৈরি করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট ধুলাবালি ও ময়লা-আবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে যত্রতত্র না ফেলে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ, মাঠ ও খোলা জায়গায় নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা এবং প্রাঙ্গণ ঘাস বা গাছপালা লাগিয়ে আবৃত রাখতে হবে।
* প্লাস্টিক বর্জ্যগুলোকে জৈব বর্জ্য বা বায়োমাসের সঙ্গে মেশানো যাবে না। উৎসে পৃথকীকরণ করে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১-এর বিধি-৬ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
* বায়ুদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।


