আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বুধবার এই বিস্ফোরণ হয়। এতে আহত হন কয়েক ডজন মানুষ। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। জানা গেছে, হামলার সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে চীন থেকে আসা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ছিলেন। তবে তারা হামলার টার্গেট ছিলেন কিনা স্পষ্ট নয়।
বিবিসি জানিয়েছে, আফগান পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে মৃতের সংখ্যা পাঁচ জন বলা হয়েছিল। তবে তালেবান জানিয়েছে, এই সংখ্যা ২০ জনের বেশি। আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। জঙ্গিগোষ্ঠীটির মুখপত্র ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছে, আইএসের এক সদস্য এ হামলা চালিয়েছেন। তিনি কর্মচারী ও রক্ষীদের মধ্যে গিয়ে তার শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।
এদিকে সংবাদ সংস্থা এএফপির গাড়ি চালক জামশেদ করিমি জানান, তিনি সরাসরি আত্মঘাতী হামলাকারীকে দেখেছেন।
তার সামনেই ওই জঙ্গি নিজেকে উড়িয়ে দেন। হামলাকারীর হাতে একটি ব্যাগ ছিল। কাঁধে ছিল রাইফেল। তিনি তার গাড়ির পাশ দিয়েই হেঁটে গেছেন। লোকজনের মধ্যে গিয়ে তিনি বোমা দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেন। আইএসের স্থানীয় শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান নামে পরিচিত। তাদের দাবি, বোমা হামলায় কয়েকজন কূটনৈতিক কর্মচারীসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। তবে বিস্ফোরণে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খুব একটা ক্ষতি হয়নি।
আফগানিস্তানে গত বছরই শাসনভার দখল করে তালেবান। মার্কিন সেনারা সেদেশ ছেড়ে চলে যেতেই তালেবান কাবুল দখল করে। তালেবান শাসন গ্রহণের পর ধারণা করা হয়েছিল আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা কমে আসবে। কারণ, বেশিরভাগ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই তালেবানের মতো বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল। কিন্তু ইসলামিক স্টেট উল্টো আরও আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। গত দেড় বছর ধরে তারা লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে।