কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলওয়ে কাম সড়ক সেতুটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৩০ সালে। নানা ইতিহাসের সাক্ষী এবং উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামকে সংযুক্তকারী এ সেতুকে ২০০১ সালে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপরও সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে ট্রেন থেকে শুরু করে সব ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন। এ সেতুতে ১০ টনের বেশি ভারি যানবাহন নিষিদ্ধ।
তবে ট্রেন চলে ঘণ্টায় মাত্র ১০ মাইল বেগে। অবকাঠামো একবারেই নড়বড়ে। পাটাতনে আছে গর্ত। গাছের দুর্বল কাঠামো।
জরাজীর্ণ এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে লাখো মানুষ। একমুখী হওয়ায় দীর্ঘ যানজটে আটকে অনেক সময় দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে সেতুতেই। এ অবস্থায় ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে। আনা হয়েছে তিনটি ফেরি।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে দুটি ফেরি চলবে। ফেরি দিয়ে ট্রাক লরি বাস চলাচল করবে, ছোট গাড়িগুলো সেতু ব্যবহার করবে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল এড়ানোর জন্যই সওজ এই ফেরি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সদর-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী আবু মো. ভুট্টো জানিয়েছেন, সংযোগ সড়ক তৈরির কাজ শেষ হলেই ফেরি চালু হবে। তিনটি ফেরি এসেছে। দুটি নিয়মিত চলাচল করবে। একটি রিজার্ভ থাকবে।
সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ফেরি সার্ভিস চালু করা যাবে বলে আশা করছি। এই সার্ভিস চালু হলে কালুরঘাট সেতুর উভয় পাশের যানজট কমে আসবে।