বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ এখন অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। দেশে বর্তমানে গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। মানুষের অধিকারকে পুরোপুরি হরণ করা হয়েছে। লুন্ঠিত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে ব্যক্তিগত অধিকার, মানবাধিকার। সংবিধানকে এখানে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ঠা মার্চ) বিকেলে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজনে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গেছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। কয়েকদিন আগে নওঁগাতে এক নারী কর্মচারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে র্যাব কাস্টডিতেই মারা যান সেই মহিলাটি। আইনের ভাষায় এটিকে বলা হয় অপহরণ। মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে দেশের মানুষের
অধিকারসহ সংবাদ কর্মীদের স্বাধীনভাবে লেখার স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। পত্রিকার সম্পাদক সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।
দ্বাদশ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে।
আগামী নির্বাচনের জন্য তারা নতুন করে তামাশা শুরু করেছে । আমরা কোন তামাশা নির্বাচন বিশ্বাস করি না । সত্যিকার অর্থে জনগণ যেখানে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে সে নির্বাচন আমরা বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।
বিএনপি’র ১০ দফা নিয়ে তিনি বলেন, এ সরকারের পদত্যাগসহ সংসদ কে বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, তারা দাবি করে বাংলাদেশকে নাকি উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছে। কিন্তু এমন উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ বানিয়েছে যেখানে ব্যাংক লুটপাট হয়ে যাচ্ছে রিজার্ভ ফান্ড হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিয়ন্ত্রণের দিকে তাদের কোন খেয়াল নেই। বঙ্গবাজারে ভয়ানক আগুনে পুরো বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হয়ে গেল আগুন নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। দেশে বিভিন্ন ধরনের এরকম ঘটনা ঘটছে এগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ।
সেই জন্যেই আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করছি; আমরা বিশ্বাস করি দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, দেশের মানুষের আন্দোলন-লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম হব আমরা।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানসহ বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।