বেশ কিছুদিন ধরে ইলকাই গুনদোয়ানের স্পেন গমনের চর্চা চলছিল। গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন জার্মান মিডফিল্ডার। নীল-মেরুন জার্সি গায়ে চড়িয়ে গুনদোয়ান বললেন, বার্সা ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবে যাওয়ার চিন্তাও করেননি তিনি।
ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাকি ছিল হাতে গোনা কয়েকদিন। এরমধ্যে ইলকাই গুনদোয়ানকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছিল সিটি। তবে স্কাই ব্লু’দের প্রস্তাবে সাড়া দেননি জার্মান মিডফিল্ডার। বার্সায় যোগ দেয়ার পর ‘দ্য প্লেয়ার্স ট্রিবিউন’-এ লেখা নিজের একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন গুনদোয়ান। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যদি সিটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই, তখন বিশ্বে কেবল একটি ক্লাবই ছিল যেখানে যাওয়াটা অর্থবহ ছিল। হয় বার্সেলোনা, নাহলে কিছুই নয়। ছোটবেলা থেকেই আমি একদিন এই জার্সিটি পরার স্বপ্ন দেখেছিলাম।’
গুনদোয়ান লিখেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরো কয়েক বছর খেলতে পারব এবং বার্সেলোনাকে সেখানে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে চাই, যেখানে তাদের থাকা উচিত।’
বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে পুরনো বন্ধু রবার্ট লেভানদোভস্কির সঙ্গে ফের জুটি বাঁধার সুযোগ হয়েছে ইলকাই গুনদোয়ানের। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুজন জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে খেলেছেন।
গুনদোয়ান বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমার পুরনো বন্ধু (রবার্ট) লেভানদোভস্কির সঙ্গে পুনর্মিলন হবে। তাছাড়া আমি এমন একজন কোচের সঙ্গে কাজ করার জন্য উচ্ছ্বসিত, যাকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। আমি ও জাভি যখন এই প্রজেক্ট নিয়ে কথা বলেছিলাম, তখন সেটা খুবই স্বাভাবিক বলে মনে হয়েছিল। ফুটবলার হিসেবে এবং আমরা যেভাবে খেলাটা দেখি সেখানে মিল রয়েছে।’
২০২২-২৩ মৌসুম শেষে বার্সেলোনা ছাড়েন সার্জিও বুসকেটস। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারের শূন্যস্থান পূরণ করতেই গুনদোয়ানকে ভিড়িয়েছেন জাভি। সাবেক ম্যান সিটি অধিনায়ক বলেন, ‘আমি জানি বার্সেলোনায় অনেক চাপ থাকবে। তবে আমি চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি। স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পছন্দ করি। নতুন একটা চ্যালেঞ্জের খোঁজে ছিলাম। বার্সার জার্সিতে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি আমি।’


