ফের আলোচনায় জামায়াত। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে পুরোদমে। তবে হার্ডলাইনে নয়। সভা-সমাবেশের মতো নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা করবে দলটি। ঈদের পর দলীয় কার্যালয় খোলার চেষ্টা করবে জামায়াত। এছাড়া, বিভাগীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যভাগে কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে সমাবেশ করতে পারে দলটি। ইতিমধ্যে কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামের নেতারা এ নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।
চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আগামী জুলাইয়ে ইনশাআল্লাহ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে সমাবেশ করবো। তবে সমাবেশের তারিখ ও সময় এখনই বলা যাচ্ছে না।
কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমদাদুল হক মামুন ঢাকার একটি সংবাদপত্রকে বলেন, সমাবেশ আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আগামী ১৫ জুলাই কুমিল্লার টাউন হল মাঠে সমাবেশ করতে চাই।
ঈদের পর পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। পুলিশ যদি ১৫ জুলাইয়ের পরিবর্তে অন্য কোনো দিন সমাবেশের অনুমতি দেয়, তবে জামায়াত সেদিন সমাবেশ করবে। অনুমতি না দিলে কী হবে– প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে।
১০ই জুন ঢাকায় সমাবেশের আগে পরেও জামায়াত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। জামায়াতের একজন নায়েবে আমীরের সঙ্গে সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বৈঠকের খবরও জানা যায়। তবে জামায়াত নেতৃত্ব বারবার এটা নিশ্চিত করছে, দলটির সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা নেই। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া জামায়াত নির্বাচনেও যাবে না। রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা কোনো বিস্ময়কর ঘটনা নয় বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


