নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রামের শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শহীদ এবং ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, দীর্ঘ ৪৮ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর অবদান দিগন্ত বিস্তৃত হয়েছে। আরো বেশি বাঙালির প্রাণে তিনি সুশোভিত হয়েছেন। সম্মানিত হয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে খুনিদের জিঘাংসা সফল হয়নি। বরঞ্চ খুনি এবং তাদের দোসররা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। যতদিন বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর অবদান চর্চিত হবে। যুগ যুগান্তরে তিনি অমর থাকবেন।
আলোচনা সভার প্রধান আলোচক বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শওকত বাঙালি বলেছেন, অত্যন্ত বেদনার সাথে লক্ষ্য করি-সম্মিলিত আয়োজনের চেয়ে ব্যক্তিগত আয়োজন বেড়ে গেছে ইদানিং। সাংগঠনিক চর্চা বিরোধি এ অভিযাত্রা খুব ভালো কিছু বয়ে আনবে না। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অন্তত: জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনগুলো ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিতভাবে হওয়া উচিত। এতে ব্যক্তির চেয়ে সংগঠন বড় এটি প্রমাণ হয়। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভয়ংকর দুঃসময়ে নির্মূল কমিটিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগণকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। যে কোন মূল্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
২৮ আগস্ট, বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে চট্টলবন্ধু এস.এম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনে সংগঠনের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির জেলা আহ্বায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপর্যুক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
সংগঠনের জেলা সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরহুম মো. জিল্লুর রহমানের সাবেক পলিটিক্যাল এপিএস ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
অন্যদের মধ্যো আলোচনায় অংশ নেন-জেলা নির্মূল কমিটি ও আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজল, বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শৈবাল চৌধুরী, শ্রমিক নেতা হাবিবুল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ আচার্য্য, নির্মূল কমিটি জেলা নেতা অ্যাডভোকেট মোঃ সাহাব উদ্দীন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সুচিত্রা গুহ টুম্পা ও রাজীব চৌধুরী, নির্মূল কমিটি-বাঁশখালীর সভাপতি কর আইনজীবী লায়ন শেখর দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, মো. জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সুদ্বীপ শর্মা, টুটুন দাশ, সুমন দাশ প্রমুখ।
সভায় জেলা সম্মেলন সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন নেতৃবৃন্দ।