By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
এক্সেপ্ট

শনিবার | হেমন্তকাল | রাত ১২:৪২

নিউজ চট্টগ্রাম
সার্চ নিউজ / হেডলাইন
Facebook Twitter Youtube Instagram Tiktok
  • আমাদের চট্টগ্রাম
  • জেলা উপজেলা
    • বান্দরবান
    • কক্সবাজার
    • রাঙ্গামাটি
    • খাগড়াছড়ি
    • শহর থেকে দূরে
    • অন্যান্য
  • বাংলাদেশ
    • জাতীয়
    • আইন আদালত
    • রাজনীতি
  • বিদেশ
    • প্রবাস ও প্রবাসী
  • প্রযুক্তি
    • সামাজিক মাধ্যম
  • বিনোদন
  • খেলা
  • শিক্ষা
  • সাত রং
    • রকমারি
    • আলপনা
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    • পর্যটন
    • ফ্যান ক্লাব
    • আলোছায়ার কবিতা
  • আরও
    • নিউজচিটাগাং স্পেশাল
    • প্রেস রিলিজ
    • কৃষি
    • গণ মাধ্যম
    • ধর্ম ও জীবন
    • পাঠক প্রিয়
    • ব্যক্তিত্ত্ব
    • ভালো খবর
  • বিশেষ কর্ণার
    • সম্পাদকীয়
    • উপ-সম্পাদকীয়
    • মুক্ত জানালা-লেখা
    • প্রাণ-প্রকৃতি
    • ভিডিও
এখন পড়ছেনঃ নীতির প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন আজাদ তালুকদার : তথ্যমন্ত্রী
শেয়ার
নিউজ চট্টগ্রামনিউজ চট্টগ্রাম
এএ
  • রাজনীতি
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • প্রযুক্তি
Search
  • Home
    • Home 1
  • Home
    • Home 1
  • Categories
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ‍্য
  • Categories
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ‍্য
  • Bookmarks
  • Bookmarks
  • More Foxiz
    • Sitemap
  • More Foxiz
    • Sitemap
আপনার কি একাউন্ট আছে? সাইন ইন
আমাদের ফলো করুন
  • Advertise
  • Advertise
© 2022 Foxiz News Network. Ruby Design Company. All Rights Reserved.
নিউজ চট্টগ্রাম > গণ মাধ্যম > নীতির প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন আজাদ তালুকদার : তথ্যমন্ত্রী
গণ মাধ্যমআমাদের চট্টগ্রাম

নীতির প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন আজাদ তালুকদার : তথ্যমন্ত্রী

নিউজ চট্টগ্রাম
সর্বশেষ আপডেটঃ ২০২৩/১০/০৬ at ৭:৫০ অপরাহ্ণ
নিউজ চট্টগ্রাম
শেয়ার
সময় লাগবে 12 মিনিট
শেয়ার

একুশে পত্রিকার সদ্য প্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদার নীতির প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে একুশে পত্রিকা পরিবার আয়োজিত প্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদারের শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আজাদ তালুকদার একজন সাহসী সম্পাদকের পাশাপাশি ছিলেন একজন লড়াকু মানুষ। মৃত্যুর আগেও তিনি দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করেছেন৷ তাঁর মধ্যে ছিল অদম্য কর্মস্পৃহা। চট্টগ্রামের এমন অনেক কিছু আছে যেটা কারও নজরে আসেনি। কিন্তু সেটা তাঁর নজরে এসেছে। সকলের নজর এড়ালেও আজাদ তালুকদারের নজর এড়ায়নি।’

একুশে পত্রিকায় অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তির বিরুদ্ধেও রিপোর্ট হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজাদ তালুকদার সঠিক রিপোর্ট অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তার লেখনিতে ফুটিয়ে তুলতেন। কারও সাথে তিনি কখনও আপস করতেন না। তিনি আমার স্নেহভাজন ছিলেন বলে, আমার আত্মীয় হয় বলে তার এসব লেখালেখির কারণে আমাকেও অনেক সময় অনেক কথা শুনতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজাদ তালুকদার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও ক্ষান্ত হননি৷ তিনি অবিরত ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করেছেন। তিনি জানতেন ধীরে ধীরে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। এরপরও এক মুহূর্তের জন্যও তিনি তার কাজ থামাননি। এক লড়াকু সৈনিকের মতো যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন।’

মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে আজাদ তালুকদারকে দেখতে ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে গিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তখন তার সাথে আমার কথা হয়। তিনি তখন মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়েও কয়েকটি কথা বলেছেন। একজন অকুতোভয় সাংবাদিক হিসেবে যেসব গুণ থাকা দরকার তার সবকটি আজাদ তালুকদারের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। যেটি কেউ সাহস করেননি। সেটি সাহস করে দেখিয়েছিলেন আজাদ তালুকদার।’

‘আজাদ তালুকদার তাঁর জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। আমি তাঁর জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছি। কতটা লড়াই সংগ্রাম করে তিনি নিজের পত্রিকা দাঁড় করিয়েছেন৷ শুধু দাঁড় করাননি তিনি একুশে পত্রিকাকে পাঠকপ্রিয় করে তুলেছেন। এটি মোটেও সহজ কাজ নয়। কোনো বড় গ্রুপের কাছে বিক্রি না হয়ে নিজের স্বকীয়তায় পত্রিকা গড়ে তুলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন তো অনেকেই মিডিয়া হাউজ করেন নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য, নিজের অবৈধ পুঁজিকে টিকিয়ে রাখার জন্য৷ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতেই আজকাল অনেকে মিডিয়ার মালিক হতে চান। সেখানে আজাদ তালুকদার কারও কাছে বিক্রি হননি৷ তিনি একা লড়াই করে, বহু কষ্টে, বহু শ্রমে-ঘামে, মেধায়, মননে একুশে পত্রিকাকে আজকের এ জায়গায় নিয়ে এসেছেন৷ পত্রিকাটি চালিয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর মধ্যে তিনটি গুণ ছিল, লড়াকু, অকুতোভয়, মেধাবী৷ যেখানে দেশের গড় আয়ু ৭৩ বছর। সেখানে এই তিন গুণে গুণান্বিত আজাদ তালুকদারের অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদ তালুকদার যখন জানতেন কিছুদিন পরই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিতে হবে। আর কিছুদিন পরেই মৃত্যু আসবে। তখন অসুস্থ হয়েও তিনি লিখে গেছেন। যখন তিনি ভারতে চিকিৎসার জন্য যান তখনও আমার সাথে কথা হয়েছে। যখন ফিরে আসেন তখনও কথা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। তাকে বাঁচানো আর সম্ভব নয়। কোনো চিকিৎসা আর কাজ হবে না। এতো কিছু জানার পরও আজাদ তালুকদার তাঁর লেখালেখি থামাননি৷ তিনি অবিচল ছিলেন৷ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকেও অবিচল থাকা এরকম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ খুব বিরল। মুক্ত, অবাধ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সমাজে ক্ষমতাসীন, শক্তিশালীদের বিরুদ্ধে যেটি সত্য সেটি লেখা সহজ কাজ নয়। সেটি আজাদ তালুকদারের কাছে সহজ ছিল।’

‘পরিশেষে আমি বলব, আজাদ তালুকদার পুঁজির সাথে আপস করেননি, ক্ষমতার সাথে আপস করেননি, মিথ্যাচারের সাথে আপস করেননি। যারা পুঁজিকে টিকিয়ে রাখতে, অবৈধ সম্পদকে টিকিয়ে রাখতে মিডিয়ার মালিক হতে চান তাদের মতো আপস করেননি আজাদ তালুকদার৷ তিনি বিক্রি হয়ে যাননি। বর্তমানে একুশে পত্রিকা পরিচালনার সাথে যারা জড়িত তারা সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন, আমি এটা আশা করি৷ আমি মরহুম আজাদ তালুকদারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’ যোগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওবায়দুল করিম বলেন, ‘আজাদ তালুকদার তাঁর কাজ শুরু করেছিলেন সততা ও সাহস দিয়ে। কিন্তু সত্যের জন্য তাঁর যে কাজ তিনি সেটি সমাপ্ত করতে পারেননি৷ তাঁর কাজটা ছিল সাহসের, সত্যের। তিনি সাংঘাতিক রকমের সাহসী ছিলেন। তাঁর চিন্তা, চেতনাকে প্রচারের ক্ষেত্রে তিনি কাজ করতেন। আজাদ তালুকদারের সঙ্গে আমার ৮ বছরের পরিচয়। এই ৮ বছরে অনেকবার তিনি আমাকে তাঁর অফিসে নিয়ে যান বিভিন্ন প্রোগ্রামে। তাঁর মধ্যে কোনো গোঁজামিল ছিলো না। তাঁর স্বপ্ন ছিল একুশে পত্রিকাকে প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলতেন, আমি মরে যেতে পারি একুশে পত্রিকা যেন মরে না যায়। তাঁর আকাঙ্খাকে বাঁচিয়ে রাখুন। একুশে পত্রিকা যখন আমার সামনে আসবে তখন আমি মনে করব আজাদ তালুকদার বেঁচে আছেন। আজাদ মৃত্যুকে জয় করেছেন তার মৃত্যুর আগেই।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার বলেন, ‘আজাদ তালুকদার লিখেছেন অনেক অপরাধী শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিজ্ঞাপনের অফার লুফে না নিয়ে সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছে তার একুশে পত্রিকা। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে একটি বিরল ঘটনা। আমি তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করছি। কখনও কোনো পত্রিকায় এটা দেখেনি। প্রত্যেক পত্রিকায় নিজেদের কিছু নিষেধাজ্ঞা তারা সংবাদকর্মীদের দিয়ে থাকে। বিশেষ করে বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য থাকে হাউজগুলোর আলাদা নির্দেশনা। আজাদ তালুকদার এক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন তা গণমাধ্যম জগতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহসীন কাজী বলেন, ‘এই শহরে এমন কোনো অলিগলি নেই, এমন কোনো নেতার বাসা নেই যেখানে আমরা দুজন (মহসীন কাজী ও আজাদ তালুকদার) সাক্ষাৎকার নিইনি। তাঁর সঙ্গে আমার বহু স্মৃতি রয়েছে। আমি, আজাদ আর দীপু ছিলাম একটি জুটি। সারাক্ষণ ঘুরে বেড়াতাম আমরা। আড্ডা দিতাম। আজাদ তালুকদার বৈরি সময়ে এসে একটা পত্রিকাকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। তিনি শুধু গড়ে তুলেননি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এই পত্রিকাকে পাঠকপ্রিয় করেছেন। আর মতো সাহসী সাংবাদিক দেশে বিরল। একজন সত্যিকারের সাংবাদিক হিসেবে আজাদ তালুকদার ছিলেন অনন্য। তাঁর মধ্যে আপসকামিতা ছিলো না। দেশে বিদ্যমান মিডিয়ায় আপসকামিতার মনোভাব আছে। কিন্তু আজাদ তালুকদারের মধ্যে তা ছিলো না। এদেশে সাংবাদিকতার জগতে আজাদ তালুকদার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। একুশে পত্রিকার মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন আজাদ তালুকদার। একুশে পত্রিকার সাহসী, দৃঢ়চেতা সাংবাদিকতায় বেঁচে থাকবেন আজাদ তালুকদার।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘আজাদ তালুকদারের মধ্যে সততা ছিল, সাহস ছিল, চ্যালেঞ্জ নিতেন। আমি একুশে পত্রিকার অফিসে যাই। একুশে পত্রিকার আমি পাঠক। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি পত্রিকা নিই। আর আমার বাসার জন্য একটি পত্রিকা নিই। আজাদ তালুকদার যে সব গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন সে গ্রন্থগুলো আমি কিনেছি। আজাদ তালুকদার যখন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিতেন, সেখানে কেমো দেওয়া অবস্থায় তিনি আমার সাথে ফোনে কথা বলতেন। একবার তিনি বলেছিলেন, সেকান্দর ভাই আমার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হবে। আপনার একটি লেখা দিন। আমি একুশের জন্য লেখা দিতাম। একুশের প্রথম পৃষ্ঠায় নিউজ ছাপা হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অনিয়মের বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি তাড়াতাড়ি করে আমাদের কাছ থেকে চলে গেছেন। ৪৫ বছরের মধ্যে তিনি অনেক কিছু করে গেছেন।’

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘আজাদ তালুকদার একজন নির্ভীক, সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। একই সাথে তিনি একজন সৃজনশীল লেখক ছিলেন। মানুষ ৭০ বছর বয়সে যে স্থানে পৌঁছায় আজাদ তালুকদার ৪৫ বছর বয়সে সে জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে তারুণ্যের সাংবাদিকতায় এক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর মতো নির্বিক আপসহীন সম্পাদক বিরল।’

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল খান বলেন, ‘আজাদ ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন গত আগস্ট। কিন্তু আমার মনে হয় ওনি এখনও আমাদের মাঝে আছেন, ওনাকে যেকোনো সময় ফোন করলে আমরা কাছে পাব। ওনার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না।’

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আজাদ তালুকদার কঠিন সময়ে সাংবাদিকতা করেছেন। আমরা অনেকে নানা প্রতিকূলতার কারণে মেরুদণ্ড সোজা রেখে সাংবাদিকতা করতে পারি না। সেক্ষেত্রে আজাদ তালুকদার মেরুদণ্ড সোজা রেখে সাংবাদিকতা করেছেন। অনেকগুলো গণমাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। সাহসী সাংবাদিকতার নিদর্শন হিসেবে একুশে পত্রিকাকে রেখে গেছেন৷ তিনি সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক হয়ে থাকবেন।’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, ‘আজাদ তালুকদার তাঁর স্বল্প জীবনে সাংবাদিকতার জন্য যা করেছেন তা চট্টগ্রামের সাংবাদিক অঙ্গনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চট্টগ্রাম তা মনে রাখবে। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তিনি যেই লেখাগুলো লিখেছেন সেগুলো আমি পড়েছি। তাঁর লেখা পড়ে আমার চোখে জল এসেছে। আমরা দেখেছি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর খোঁজখবর নিয়েছেন। আজাদ তালুকদার তাঁর স্নেহভাজন ছিলেন। একুশে পত্রিকার আজাদ তালুকদারের জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু করার সুযোগ হয়নি। আমি তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি যেন সবার সুদৃষ্টি থাকে সেজন্য সকলের প্রতি আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, ‘আজাদ তালুকদার ছিলেন সৎ, সাহসী সাংবাদিক। তিনি কতটা জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন তা আজকের উপস্থিতি বলে দেয়। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এটিএন বাংলা পরিবারের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি মন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করব তার পরিবারকে যেন সুদৃষ্টিতে রাখা হয়। পাশাপাশি আজাদ তালুকদার যেভাবে সাহসের সাথে একুশে পত্রিকাকে চালিয়ে নিয়েছেন। তাঁর সহকর্মীরা যেন সেই ধারা অব্যাহত রাখেন।’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, ‘আজাদ তালুকদার একজন সত্যিকারের সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। আমি মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব তিনি যেন তাঁর পরিবার, বিশেষ করে তাঁর একমাত্র ছেলের দায়িত্ব নেন৷ তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন। আমি আজাদ তালুকদারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশতে নসিব করেন।’

সভাপতির বক্তব্যে একুশে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নজরুল কবির দীপু বলেন, ‘আজাদ তালুকদারের শোকসভায় বক্তব্য রাখতে হবে কোনোদিন ভাবিনি। একুশে পত্রিকা অফিসে ঢুকেই তার চেয়ারটার দিকে তাকালে বুকটা ভেঙে যায়। আমি জানি না কেন আজাদ তালুকদার আমাকে একুশে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছে, তার প্রত্যেকটি কথা আজকে আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। একুশে পত্রিকাকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করব। আপনারা তাকে কতটা ভালোবাসেন তা আজ বুঝেছি। আজকের শোকসভায় উপস্থিত হওয়া সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

একুশে পত্রিকার সাংবাদিক আবছার রাফির সঞ্চালনায় শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি তারেকুল ইসলাম জুয়েল, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর সাইফুল আলম খান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার, রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জিগারুল ইসলাম জিগার, করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রামের প্রধান উদ্যোক্তা মো. সাজ্জাদ হোসাইন প্রমুখ।

আপনি এটিও পছন্দ করতে পারেন

ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ

চবি ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের পরিবেশ বিজ্ঞানের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে র‍্যালি অনুষ্ঠিত

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত

চবিতে নবাগত শিক্ষকদের ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ প্রদান

নির্বাচনী উৎসবের ট্রেনকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সবাইকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে: আবু সুফিয়ান

Sign Up For Daily Newsletter

Be keep up! Get the latest breaking news delivered straight to your inbox.
[mc4wp_form]
By signing up, you agree to our Terms of Use and acknowledge the data practices in our Privacy Policy. You may unsubscribe at any time.
সংবাদটি শেয়ার করুন
ফেইসবুক টুইটার পিন্টারেষ্ট হোয়াট্সএ‍্যাপ হোয়াট্সএ‍্যাপ টেলিগ্রাম ইমেইল কপি লিঙ্ক প্রিন্ট
শেয়ার
আপনী কি ভাবছেন?
লাভ0
সেড0
হেপি0
স্লিপি0
এংগ্রি0
ডেড0
উইঙ্ক0
পূর্ববর্তী সংবাদ হঠাৎ একটা দেশের নির্বাচন নিয়ে কেন এতো আগ্রহ?
পরবর্তী সংবাদ হাটহাজারীর আলমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
একটি মন্তব‍্য করুন একটি মন্তব‍্য করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

235.3কে ফলোয়ার্স পছন্দ
69.1কে ফলোয়ার্স ফলো
11.6কে ফলোয়ার্স পিন
56.4কে ফলোয়ার্স ফলো
136কে সাবস্ক্রাইবার সাবস্ক্রাইব
4.4কে ফলোয়ার্স ফলো
- Advertisement -
Ad imageAd image

Latest News

মোহামেডানকে হারালো কিংস
জনপথ খেলা ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
জনপথ জাতীয় রাজনীতি লিড ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
মিরসরাই প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজাদের পিতা নুরুল আবছারের ইন্তেকাল
জনপথ জেলা উপজেলা শহর থেকে দূরে ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
ওসমান হাদিকে গুলি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন রাশেদ খাঁন
জনপথ জাতীয় রাজনীতি লিড ৩ ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
নিউজ চট্টগ্রাম
আমরা রাষ্ট্র তথা এলাকার উন্নয়ন, সমস্যা এবং সম্ভাবনার কথা তুলে ধরি। আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ নই কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমরা আপসহীন থাকার চেষ্ঠা করি। আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি যে, সংবাদপত্র রাষ্ট্রের অপর তিন স্তম্ভ- সংসদ, প্রশাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের পর চতুর্থ স্তম্ভ। একটি কার্যকর রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনায় দায়িত্বশীল সংবাদপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রকাশক ও সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি
পারভেজ মনিরা আকতার


সম্পাদক
মির্জা ইমতিয়াজ শাওন


সম্পাদকীয় কার্যালয়
৭-৮ মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।
+৮৮০২-৪১৩৫৫৩৬২, ০১৪০ ০৫৫৩০৪০

infocn24@gmail.com, newschattogram@gmail.com

যোগাযোগ
আমাদের কথা
ইউনিকোড কনভার্টার
গোপনীয়তার নীতিমালা

স্বত্ব নিউজ চট্টগ্রাম ২০০৫-২০২০।  আমাদের নিজস্ব সংবাদ, ছবি অবিকৃত অবস্থায় সূত্র উল্লেখ করে বিনামূল্যে যে কেউ প্রকাশ করতে পারবে।   প্রযুক্তি সহায়তায় ❤ ডেবস্ওয়্যার

রিডিং লিষ্ট থেকে মুছে ফেলুন

আন-ডু
adbanner
AdBlock Detected
Our site is an advertising supported site. Please whitelist to support our site.
ঠিক আছে, আমি হোয়াইটলিষ্ট
Welcome Back!

Sign in to your account

পাসওয়ার্ড হারিয়ে ফেলেথছন?