বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক চালু করেছে চীন। প্রতি সেকেন্ড ১.২ টেরাবাইট (১২০০ গিগাবাইট) ডাটা স্থানান্তর করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দেশটি!
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবাইট ডাটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছে তারা। কিন্তু এবার সবাইকে টেক্কা দিয়ে দিলো চীন।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চায়না মোবাইল, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এবং চায়না এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ নেটওয়ার্কের সম্মিলিত উদ্যোগে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন একটি ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি অঞ্চলজুড়ে এ নেটওয়ার্ক চালু হয়। মূলত বেইজিং, উহান এবং গুয়াংজু প্রদেশ এ নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে।
নতুন নেটওয়ার্কটি গত জুলাইয়ে চালু হলেও গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে অত্যাধুনিক এ ইন্টারনেট সফলভাবে কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরই মধ্যে সব পরীক্ষায় নেটওয়ার্কটিতে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে।
তবে এতেই শেষ নয়। এর চেয়েও দ্রুতগতির ইন্টারনেট চালুর লক্ষ্য চীনের। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, চীনের কাছে এর চেয়েও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুততর ইন্টারনেট চালু করার সুযোগ রয়েছে।
সাধারণভাবে বিশ্বের অধিকাংশ ইন্টারনেট সিস্টেমের ব্যাকবোন নেটওয়ার্কের গতি ১০০ জিবি প্রতি সেকেন্ড। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট-টু নামে যে নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে, তা দিয়ে সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবাইট পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে। সেটা চীনের এ সাফল্যের চেয়ে অনেকটাই কম।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিন উ জিয়ানপিং বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ইন্টারনেটের উন্নয়নে অবশ্যই চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকবে। বিশ্বব্যাপী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ইন্টারনেট অবকাঠামোর অংশ এ ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক। এটি চীনকে আরও দ্রুততর ইন্টারনেট তৈরির জন্য উন্নত প্রযুক্তি দেবে।
এ ধরনের ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক ডাটাচালিত শিল্পের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য এবং ফাইভ-জি নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে, যা স্বচালিত গাড়ি এবং বণিজ্যিক যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য।