বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বড় বড় শহর ছাড়াও ছোট ছোট শহরগুলোতেও বাড়ছে বায়ুদূষণ। তবে ঝুঁকিপূর্ণ বায়ুদূষণে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। তবে দিল্লির অবস্থা আরও ভয়াবহ। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ চর্তুথ, শহরটির স্কোর রয়েছে ১৮৮।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৯টি শহরের মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি শহরই ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ভয়াবহ দূষণের তালিকাতে ভারতের দিল্লি রয়েছে, শহরটির স্কোর ৪৭৯। এরপর পাকিস্তানের লাহোর ৪১৬ ও পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে, যার স্কোর ১৮৮। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, স্কোরও ১৮৮। ১৬৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই।
একই সময়ে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নির্মল বাতাস রয়েছে রাশিয়ার ক্রাসনোয়ার্স ও নরওয়ের অসলো। তারপর রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্ন। এ তিন শহরের স্কোর যথাক্রমে ৮, ৮ ও ১১।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তথ্য তুলে ধরছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।
আইকিউএয়ারের আজকের তালিকায় ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ২০ গুণের বেশি।
আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেয়া হয়। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হতে হবে, সেটি দূষণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে, তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।